খােলা বাজার২৪। সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: ঋতু বৈচিত্রের এই দেশে প্রকৃতি যেমন তার নানা রুপ পরিবর্তন নিয়ে আসে, সেই সাথে প্রকৃতিকে উপভোগ করার জন্য হাজার হাজার মাইল দূর থেকে আসে অতিথি পাখি। আর এই সব অতিথি পাখিগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানের মত ব্রাহ্মনবাড়িয়ার জেলার নাসিরনগর ও সরাইল এলাকার হাওর বেষ্টিত অঞ্চলেও দেখা যায়।
শীতকালে দেশি পাখির পাশাপাশি, নানা রঙের অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকে জেলার বিভিন্ন এলাকা। এই অতিথি পাখির আগমনে উচ্ছ্বসিত, এলাকার প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। পাখির আবাসস্থল নিরাপদ রাখতে উদ্যোগী পরিবেশ বিভাগও। নীলশির, লালশির, রাঙ্গামুরি এমন মিষ্টি নামের সব অতিথি পাখি, ভিড় করেছে উপজেলার হাওরবেষ্টিত এলাকায়। এর সাথে আছে বালি হাঁস, পাতারি হাঁস, বৈকাল হাঁসসহ বাহারি ধরনের আরো অনেক পাখি। নাসিরনগরের মিদি হাওর, বাকলঙ্গন, বলবদ্ধ, দলেশ্বরী ও মেহেদি হাওরে বছরের এই সময়টিতে উপরে উল্লেখিত কয়েক প্রজাতির হাজার হাজার অতিথি পাখির গুন গুন শব্দ ও কলকাকলিতে প্রকৃতি যেন হারিয়ে যায় এক অপরুপ সৌন্দের্যে । আবার জেলার সরাইল উপজেলার আকাশি, শাপলা বিল, তুলা বিল ও কটিয়া বিল অতিথি পাখিদের আরেক অভৈয় আরন্য। এসব অঞ্চলে অতিথি পাখির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আশে পাশের জেলা থেকে হাজারও পাখি প্রেমিক ভক্তরা ছুটে আসছেন প্রতিনিয়ত।
সরজমিনে ঘুরে কথা হয় দূর দূরান্ত থেকে আসা কয়েকজন দর্শনার্থীর সাথে। তারা বলেন, ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নাসিরনগর ও সরাইলের হাওরগুলোতে বছরের এই সময়ে যে পরিমান অতিথি পাখি দেখা যায়, তা অন্যান্য জায়গায় যায়না। স্বচোখে এমন দৃশ্য উপভোগ করলে মনে হয় যেন প্রকৃতির সঙ্গে মিশে গেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, অতিথি পাখিকে কেন্দ্র করে এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রচুর দর্শনার্থী সমাগম হচ্ছে। আর বিচিত্র এসব অতিথি পাখির নামকরণ করেছে এ দেশেরই পাখি প্রেমী মানুষরা। শুধু নামকরণ নয়, অতিথি পাখিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তৎপর উপজেলার হাওর এলাকার মানুষেরা। হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আসা এ পাখিদের জন্য ভালোবাসার যেন কোনো কমতি নেই হাওরবাসীর মনে।