খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার ১৯ জুন ২০১৮ : বানারীপাড়া প্রতিনিধিঃ বানারীপাড়ায় একদিনের ব্যবধানে ফাতেমা(৩৪) নামের দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধু ও সৈয়দ সজিব(২২) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই গৃহবধুর পিতা মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেনের দাবী স্বামীর পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেওয়ায় তার মেয়েকে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে জামাতা হত্যা করেছে।
অপরদিকে ওই যুবকের পরিবারের দাবী পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করে গাছের সঙ্গে লাশ ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে। এদিকে মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন জানান শনিবার ঈদ-উল ফিতরের দিন তার জামাতা ট্রলার শ্রমিক দেলোয়ার বেপারীর গভীর রাতে উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের দিদিহার গ্রামের বাসায় ফেরা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ফাতেমাকে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুঁলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে স্বামী সহ শশুর বাড়ির লোকজন প্রচারণা চালায়।
বাড়ির পাশের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকিয়া প্রেমের কারণে গত এক বছর ধরে তার মেয়ে ও জামাতার সুখের সংসারে অশান্তি বিরাজ করছিলো জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন দাবী করেন এর আগেও তার মেয়েকে হত্যা চেষ্টা ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এদিকে বানারীপাড়ার লবনসাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম জানান উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়নের পশ্চিম লবনসাড়া গ্রামের সৈয়দ বাবুলের ছেলে ইজিবাইক চালক সৈয়দ সজিব রবিবার রাত ১২ টায় স্থাণীয় বটতলা নামক স্থানে একটি দোকানে বসে ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন। পরের দিন সোমবার সকালে একই এলাকার জনৈক কালাম ফকিরের বাড়ির বিল্ডিংয়ের পাশের কাঠাল গাছে মাটিতে হাটু ঘেরা ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
তার পরিবারের দাবী পূর্ব বিরোধের জের ধরে তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গাছে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে। দু’টি ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।এ প্রসঙ্গে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খলিলুর রহমান জানান তাদের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে লাশের ময়না তদন্তের পাশাপাশি মাঠে কাজ করছে পুলিশ।