Tue. May 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খোলাবাজার২৪.রবিবার,০৮ জুলাই, ২০১৮ঃ দেশের চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেত্রী রানী সরকার আর নেই। আজ শনিবার ভোররাত ৪টার দিকে রাজধানীর ধানম-ির ইডেন মাল্টি কেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
দু’দফা জানাজার পর আজ বাদ যোহর তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।বিএনপি মহাসচিব এক শোক বার্তাই শোকাহত পরবিাররে প্রতি গভীর সমবদেনা জ্ঞাপন করেছেন।

রণ্যে এ অভনিত্রেীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেনে বএিনপি চয়োরর্পাসন উপদষ্টো পরষিদরে সদস্য ও বশিষ্টি সাংস্কৃতকি ব্যক্তত্বি গাজী মাজহারুল আনোয়ার, বএিনপ’ির সাংস্কৃতকি বষিয়ক সম্পাদক চত্রিনায়ক আশরাফ উদ্দনি আহমদে উজ্জল, জাতীয়তাবাদী সামাজকি সাংস্কৃতকি সংস্থা (জাসাস) এর সভাপতি ড. মামুন আহমদে, সাধারণ সম্পাদক চত্রিনায়ক হলোল খান, সাংগঠনকি সম্পাদক অভনিতো চৌধুরী মাজহার আলী শবিা শানু প্রমুখ।

নতেৃবৃন্দ মরহুমরে আত্মার মাগফরোত কামনা করে শোকাহত পরবিাররে প্রতি গভীর সমবদেনা জ্ঞাপন করনে।


এ গুণী অভিনেত্রী দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা ছাড়াও পিত্তথলিতে পাথর, বাতজ্বর, জটিল কোলেলিথিয়েসিস রোগসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে তাকে ৩০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। একই বছর বাংলা চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।
রাণী সরকারের অভিনয় জীবন শুরু করেন ১৯৫৮ সালে। শুরুতেই তিনি মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন। নাটকের নাম ‘বঙ্গের বর্গী’। ওই বছরই চলচ্চিত্রে তার অভিষেক হয়, এ জে কারদার পরিচালিত ‘দূর হ্যায় সুখ কা গাঁও’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এরপর ১৯৬২ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশাম পরিচালিত উর্দু চলচ্চিত্র ‘চান্দা’তে অভিনয় করেন। সেই ছবির পর থেকেই তার নতুন নাম হয় রানী সরকার। ‘চান্দা’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর উর্দু ছবি ‘তালাশ’ ও বাংলা ছায়াছবি ‘নতুন সুর’-এ কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে তিনি অভিনয় করেন। ছবি দুটি বেশ জনপ্রিয় হয়। গত শতকের ষাট, সত্তর ও আশির দশকের চলচ্চিত্রে তিনি দাপটের সাথে খল-চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
শেষ জীবনে তিনি আর্থিক দৈন্যতার মধ্যে পরে তার বড় ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছিলেন। তাকে সার্বক্ষণিক দেখভাল করতেন তার বড় ভাইয়ের ছেলে মিজানুর রহমান। মৃত্যুর সময় তিনি এ অভিনেত্রীর পাশেই ছিলেন।
মিজান বলেন, কিডনিতে পাথর, লিভার ও রক্তের বিভিন্ন রোগে ফুফু আক্রান্ত ছিলেন। শুক্রবার দিনগত রাতে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ধানম-ির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, তার রক্তের হিমোগ্লোবিন ৩-এ নেমে গেছে এবং অবস্থা গুরুতর। পরে সেখান থেকে তাকে ইডেন মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মিজান আরো জানান, বাদ যোহর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ের মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ চ্যানেল আই কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান জানান, রানী সরকারকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দুপুর আড়াইটার দিকে তার মরদেহ চ্যানেল আই কার্যালয় থেকে এফডিসিতে নিয়ে আসা হয়। এখানে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাণী সরকারের ইচ্ছেতেই তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রানী সরকারের আসল নাম মোসাম্মৎ আমিরুন নেসা খানম। তার জন্ম সাতক্ষীরা জেলার সোনাতলা গ্রামে। সোনাতলা গ্রামের ইউপি স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে তিনি খুলনা করোনেশন গার্লস স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন।
তিনি প্রায় আড়াইশ’ চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো- ‘চান্দা’, ‘তালাশ’, ‘কাঁচের দেয়াল’, ‘বেহুলা’, ‘আনোয়ারা’, ‘চোখের জল’, ‘নাচের পুতুল’ ইত্যাদি।