
মিলের ভারপ্রাপ্ত মহা ব্যবস্থাপক কাজী সিরাজুল ইসলাম সকালে তার অফিস কক্ষে গেলে শ্রমিকরা মিল বন্ধ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে এবং ভারপ্রাপ্ত জিএমকে অবরুদ্ধ করে সমাবেশ করে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন সিবিএ’র সভাপতি ইউসুফ আলী, সিবিএ সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, আবুল খায়ের, সিবিএ নেতা হারুন অর রশিদ প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা শ্রমিকদের ৮ সপ্তাহ মজুরি, কর্মকর্তাদের ৩ মাসের বকেয়া বেতন ও কর্মচারীদের ২ মাসের বেতন পরিশোধের আহ্বান জানান। পাশাপাশি পাটমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। এ সময় বিক্ষোভ মিছিল করে শ্রমিকরা বলেন, বকেয়া মজুরি না দেওয়া পর্যন্ত মিলের উৎপাদন চালু করা হবে না।
মিলের সিবিএ সভাপতি ইউসুফ আলী জানান, ৫২০ তাঁতের এই জুট মিলটিতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত আছেন। কিন্তু বিজেএমসি কর্তৃপরে অব্যবস্থাপনা ও উদাসীনতার কারণে মিলটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। বিজেএমসি টাকা না দেয়ায় মিল কর্তৃপ আট সপ্তাহ যাবত শ্রমিকদের মজুরি, দুই মাস ধরে কর্মচারীদের বেতন ও তিন মাস ধরে কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতাদি দিতে পারছেন না।
মিলের তাঁত বিভাগের শ্রমিক জাহাঙ্গীর, কবির হোসেন, সিরাজ মোল্লা জানান, বাজারের সব কিছুর দাম বৃদ্ধির মধ্যে আট সপ্তাহ ধরে আমাদের মজুরি বন্ধ। এ অবস্থায় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি।
এসব বিষয়ে বাংলাদেশ জুটমিলের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক কাজী সিরাজুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা এখন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে আছি। বিজেএমসি টাকা না দেওয়ার ফলে আমরা শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরিও দিতে পারছি না। টাকার অভাবে মিলের পাটও কিনতে পারছি না। আজকের এই শ্রমিক বিক্ষোভের কথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এদিকে মিলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।