Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,রবিবার,২০অক্টোবর,২০১৯ঃ মনোহরগঞ্জে হাসনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদুকের মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সরেজমিনে তদন্তের তালবাহানা। যেই দপ্তরে দুর্নীতি সেই দপ্তরেরই তদন্ত কর্মকর্তা। দুদকের নিজস্ব কর্মকর্তা দিয়ে তদন্তের জন্য বাদীর ফের আবেদন।

কামাল চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি লুটপাট, ক্ষমতার দাপট ও ক্ষমতার অপব্যবহার, গড়েছে বিশেষ সংগঠনের নামে নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। তার অন্যায় অপরাধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেই চলে কামাল চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হামলা-মামলাা ও নির্যাতন ও এলাকা ছাড়ার হুমকি। মাননীয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মহোদয়ের দেয়া হাসনাবাদে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাকা রাস্তা নির্মাণ ব্যতীত ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দের ৮০% থেকে ১০০% টাকা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কামাল চেয়ারম্যানের পকেটে।

২০০২ সালে এই কামাল চেয়ারম্যান পুলিশের এসআই পদে চাকুরী পাওয়ার জন্য তৎকালীন বিএনপির এমপি আনোয়ারুল আজিমের হাত ধরে ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলে যোগ দেয়। চাকুরী না পাওয়াতে ২০০৯ সালে এসে আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মাদ আলীর হাত ধরে ছাত্রলীগে আবার যোগদান করে। পরে সুকৌশলে ইউনিয়ন যুবলীগের পদটিও লুফে নেয়। তার মামা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি থাকার সুবাদে তারা দুজনে মিলে হাসনাবাদে একচ্ছত্র রাজত্ব কায়েম করে এবং অনিয়ম দুর্নীতিতে ব্যস্ত। প্রকৃত পক্ষে তারা মামা-ভাগিনা, দুজন আওয়ামীলীগের বড় পদ ধারী ছাড়া তাদের দুজনের বংশের মধ্যে একজন আওয়ামীলীগ সমর্থক খুজে পাওয়া যাবে না। সবাই বিএনপি জামাতের রাজনীতি করে।

কামাল চেয়ারম্যানের মামা পুলিশের এসবি সহিদুল ইসলাম ২০০২-২০০৫ পর্যন্ত জোবায়দা রহামানের গাড়ী চালক ছিলেন। যার জন্য বর্তমানে হাসনাবাদ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী তার নিকট জিম্মি। সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা বিএনপি-জামায়াত নেতা কর্মীরা পায়।

বর্তমানে কামাল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সরেজমিনে তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আল আমিন সরদারের উপর ন্যাস্ত হয়েছে। জানা যায় উক্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত না করে মামলার বাদীকে না জানিয়ে বিবাদী কামাল চেয়ারম্যানের মাথে তার অফিসে প্রতিনিয়ত আলাপ-আলোচনায় ব্যস্ত। বাদীর আশংকা এই তদন্ত কর্মকর্তা কোন কিছুর বিনিময়ে প্রভাবিত হইয়া সঠিক তদন্তে তাল বাহানা করিতেছে এবং সাজানো গোছানো ও বানোয়াট তদন্ত রির্পোট দিতে পারে।

তাই বাদী ও এলাকাবাসীর দাবী এ মামলার তদন্ত রিপোর্ট বর্তমান কর্মকর্তার দ্বারা নিরপেক্ষ হবে না। অতএব দুদকের নিজস্ব কর্তকর্তা দিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করিলে কামাল চেয়ারম্যানের সকল দুর্নীতি ও অপকর্মের চিত্র ফুটে উঠবে।