খােলাবাজার২৪,শনিবার, ০১ফেব্রুয়ারি,২০২০ঃ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চীনের অবরুদ্ধ নগরী উহান থেকে বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরা ৩১৪ জনের মধ্যে সাত বাংলাদেশিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিশেষ ফ্লাইটটিতে ৩১৬ জনের ফেরার কথা থাকলেও শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকায় দুজনকে উহানেই রেখে আসা হয়।
ডিসেম্বরে উহানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর জানুয়ারির মাঝামাঝিতে এটি মহামারি আকার ধারণ করে। ওই সময়ে উহান শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চীন সরকার। এই অবস্থায় খাদ্য সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সহায়তার আবেদন জানালে তাদের ফেরাতে উদ্যোগ নেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের দেশে ফেরাতে আলোচনা শুরু হয় চীন সরকারের সঙ্গে।
তাদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে চীনের অনুমতি পাওয়ার পরপরই ঘোষণা দেয়া হয় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তখন উহানে অবস্থানরতদের থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুকদের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করে চীনে বাংলাদেশ হাইকমিশন। সর্বশেষ ৩১৬ জন দেশে ফিরে আসবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।
উহানে আটকেপড়াদের ফিরিয়ে আনতে শুক্রবার উহান যায় বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট। রাতেই তাদের নিয়ে যাত্রা করার কথা থাকলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও অভিবাসন সংক্রান্ত নানা জটিলতায় শনিবার চীনের স্থানীয় সময় সকালে ফ্লাইটটি বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করে। বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে ৩১৬ বাংলাদেশিকে নিয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিশেষ ফ্লাইটটি। পরে তাদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘জ্বর থাকায় সাতজনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের নেওয়া হয়েছে আশকোনো হজ ক্যাম্পে।’
চীনফেরত এই বাংলাদেশিদের আশকোনো হজ ক্যাম্পে রেখে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। আশকোনো হজ ক্যাম্পে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন পুলিশ ও সেনা সদস্যরা। কারও মধ্যে সংক্রমণের লক্ষণ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানান্তর করা হবে হাসপাতালে।