Sun. Jun 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪, রবিবার১৮, অক্টোবর ২০২০: সুযোগ ছিল শোধ নেয়ার। সেই সঙ্গে ফাইনালের পথে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু পারল না মাহমুদউল্লাহ শিবির। প্রেসিডেন্টস কাপের ম্যাচে শনিবার নাজমুল একাদশের সঙ্গে স্রেফ উড়ে গেছে দলটি। মাহমুদউল্লাহরা হেরেছে ১৩১ রানের বিশাল ব্যবধানে। চার ম্যাচে দুই জয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকল নাজমুল বিগ্রেড। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে এই নাজমুল একাদশের সঙ্গে হেরেছিল মাহমুদউল্লাহরা।

২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে নাজমুল হোসেন শান্তের দল। অন্যদিকে পথ কঠিন হলো মাহমুদউল্লাহর দলের (এক জয়)। পরের ম্যাচে ১৯ অক্টোবর তামিম একাদশের মুখোমুখি হবে তারা।মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৬৪ রান করে নাজমুল একাদশ। চলতি আসরে যা দলীয় সর্বোচ্চ। জবাবে ৩২.১ ওভারে ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায় মাহমুদউল্লাহদের ইনিংস।

২৬৫ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা মাহমুদউল্লাহ একাদশের শুরুটা চরম বাজে। ১০০ রানের আগেই ৬ ব্যাটসম্যান আউট। একে একে ফিরে যান ইমরুল কায়েস, লিটন কুমার দাস, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মাহমুদুল হাসান জয় ও সাব্বির রহমান। লিটন সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন। ১৩ রান করে করেন মুমিনুল ও মাহমুদুল। এরপর নুরুল হাসান সোহানই যা লড়েছেন। তারপরও পাননি যোগ্য সঙ্গী। মেহেদী হাসান মিরাজকে আশার আলো জ্বালালেও থামেন ১৬ রানে। ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান।
নাজমুল একাদশের নাসুম আহমেদ ও আবু জায়েদ রাহি ৩টি করে উইকেট নেন। ২৬ রানের ২ উইকেট নেন ম্যাচের সেরা বোলার রিশাদ হোসেন।

এরআগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না নাজমুল একাদশেরও। ৩১ রানেই ৩ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখানোর দায়িত্ব নেন মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন। যতো সময় গড়িয়েছে এই দুই ব্যাটসম্যানের রান তোলার গতি ততো বেড়েছে। মুশফিক মন্থর গতিতে আগালেও আফিফ খেলেছেন ওয়ানডে মেজাজে। এই জুটি থেকে আসে ১৪৭ রান।সেঞ্চুরি থেকে ২ রান দূরে থাকতে রান আউট হয়ে বিদায় নিতে হয় আফিফকে। ১০৮ বলে ১২টি চার ও একটি ৯৮ রান করেন এই তরুণ। কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন মুশফিকও। আগের ম্যাচে ১০৩ রানের ইনিংস খেলা মুশফিক এদিন ৯২ বলে একটি চারে ৫২ রান করেন।

শেষের দিকে রান বাড়িয়েছেন তৌহিদ হৃদয় ও ইরফান শুক্কুর। হৃদয় ২৭ রান করে থামলেও ইরফান ৩১ বলে ৪৮ রানে থাকেন অপরাজিত। তার ইনিংস ছিল ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো। মাহমুদউল্লাহ একাদশের রুবেল হোসেন ৩টি, এবাদত হোসেন ২টি ও সুমন খান একটি উইকেট নেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
নাজমুল একাদশ : ২৬৪/৮ (ইমন ১৯, মুশফিক ৫২, আফিফ ৯৮, হৃদয় ২৭, শুক্কুর ৪৮*; রুবেল ৩/৫৩, এবাদত ২/৬০, সুমন ১/৫২)।

মাহমুদউল্লাহ একাদশ : ৩২.১ ওভারে ১৩৩/১০ (লিটন ২৭, মমিুনুল ১৩, মাহমুদুল ১৩, মাহমুদউল্লাহ ১১, সোহান ২৭*, মিরাজ ১৬; নাসুম ৩/২৩, রাহি ২/৩৪, রিশাদ ২/২৬)।
ফল : নাজমুল একাদশ ১৩১ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা : আফিফ হোসেন (নাজমুল একাদশ)
সেরা ব্যাটসম্যান : আফিফ হোসেন (নাজমুল একাদশ)
সেরা বোলার : রিশাদ হোসেন (নাজমুল একাদশ)

সেরা ফিল্ডার : নাজমুল হোসেন শান্ত (নাজমুল একাদশ)