
আধুনিকতার ছোঁয়ায় আধুনিকভাবে এখন তৈরী হচ্ছে অত্যাধুনিক বাদ্যযন্ত্র। আধুনিকতার সাথে তাল রেখে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা রতন চন্দ্র নট্ট ও স্বপন চন্দ্র নট্ট দুই ভাই তাদের বাবার ঐতিহ্য পেশাকে টিকিয়ে রেখেছে। যুগ যুগ ধরে বুনে চলেছে বাঙ্গালীর হৃদয়ের সেই সুরের বাদ্যযন্ত্র তৈরীর কাজ। ঢাক-ঢোল মিশ্রিত সংগীতের জন্য হৃদয় ব্যাকুল হলেও সত্যি একদিন বিলীন হয়ে যাবে গ্রাম বাংলার দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের সুর। বাবার পেশাকে ধরে রেখে নিজস্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তৈরী করে চলেছে নানান বাদ্যযন্ত্র। তাদের নেই কোন উন্নতি প্রযুক্তি, আধুনিক প্রশিক্ষণ, নেই সরকারি কোন পৃষ্ঠপোষকতা। তবুও পাল্লা দিয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি খচিত বাদ্যযন্ত্রের সাথে কোন রকম টিকিয়ে আছে।
স্থানীয়রা জানান, স্বপন চন্দ্র নট্ট ও রতন চন্দ্র নট্ট এই দুই ভাই তাদের বাবার পেশাটিকে এখনো সম্মান করেন। তাদের হাতের নৈপুণ্য কারুকাজের মাধ্যমে ফুটিয়ে উঠে গ্রাম বাংলার দেশীয় বাদ্যযন্ত্র। তারা শুধু বাদ্যযন্ত্রের কারিগরে নয়, বাদ্যযন্ত্র বাজনার পুরো অভিজ্ঞতা আছে তাদের। তারা আরো জানান, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে কারিগরদের জন্য সরকারের তদারকি দরকার।
বাদ্যযন্ত্র কারিগর স্বপন চন্দ্র নট্ট জানান, আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায়, গ্রাম বাংলার দেশীয় ঢাক-ঢোলেরের চাহিদা কমে যাচ্ছে। বর্তমান তেমন আয় বেশি একটা হয়না। তবুও বাবার পেশার কারনে ধরে রেখেছেন এই পেশাটিকে। তিনি আরো জানান, যদি সরকারি কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতো তাহলে হারিয়ে যেতো না গ্রাম বাংলার দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের কাজ। প্রশাসনের নেই কোন তদারকি নেই কোন পৃষ্ঠপোষকতা। তাদের মৃত্যুর পর হয়তো বিলীন হয়ে যাবে এ পেশাটি।