
নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহাবুব জর্জের পুনরায় পরিষদে ফিরে আসার উদ্যোগকে ঘিরে এলাকাজুড়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে মাহাবুব জর্জ নিয়মিতভাবে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত ছিলেন না। দায়িত্ব পালনে গাফিলতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, দমন-পীড়ন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর প্রশাসন তাঁর স্থলে একজন প্রশাসক নিয়োগ দেয়। চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে তিনি সরকারি তহবিলের অপব্যবহার, প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, ভুয়া বিল-ভাউচার প্রদানসহ বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও মাতৃত্বকালীন ভাতার অর্থ লেনদেনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এছাড়া বিরোধী মত দমন, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে অতীতে ইউনিয়নে উত্তেজনা ও জনঅসন্তোষের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। উল্লেখ্য, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজারের বকুলতলা মোড়ে সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুব জর্জের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছিলো এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তারা বলেছে আওয়ামী সরকারের আমলে নৌকা প্রতীক নিয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিনা ভোটেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মাহবুব জর্জ। এরপর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতে লিপ্ত হন তিনি। আওয়ামী সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতা পরিষদে চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। আরো জানা যায়, মাহাবুব জর্জের নামে ৫ই আগষ্ট পরবর্তী মামলা হয় ও সেই মামলায় আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।
সম্প্রতি মাহাবুব জর্জের পুনরায় পরিষদে ফিরে আসার উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মধ্যে আবারও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, তাঁর প্রত্যাবর্তন হলে ইউনিয়নে পুনরায় বিভেদ, অস্থিরতা ও অনিয়মের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
এলাকাবাসী প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে, ইউনিয়নের শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে মাহাবুব জর্জের পুনরায় পরিষদে ফেরার উদ্যোগ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।


