Wed. Jun 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

লাইফ স্টাইল ডেস্ক: নারীসুলভ আচরণ করুন (যেমন: কোমল হওয়া), স্বামীরা তাদের স্ত্রীর জায়গায় কোন পুরুষ চায় না।
২) সুন্দর/আকর্ষণীয়ও পোশাক পরুন। আপনি যদি গৃহিণী হন, সারাদিন ধরে রাতের পোশাক (ঢিলাঢালা আরামদায়ক পোশাক) পরে থাকবেন না।
৩) ঘাম/মশলা জাতীয় গন্ধ থেকে পরিচ্ছন্ন ও সুরভিত থাকুন।
৪) আপানর স্বামী বাইরে থেকে ঘরে ঢোকার সাথে সাথে আপানার যাবতীয় সমস্যার কথা বলা শুরু করবেন না। তাকে কিছুটা মানসিক বিরতি দিন। বার বার জিজ্ঞেস করবে না, ‘কি ভাবছ’?
৫) অনবরত দোষারোপ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন, যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহ আপনাকে আসলেই সত্যিকার অর্থে অভিযোগ করার মত কিছু দেন।
৬) অন্যের কাছে নিজেদের স্বামী-স্ত্রীর সমস্যার কথা বর্ণনা করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন; এমনকি সাহায্য বা পরামর্শ চাওয়ার অজুহাতেও না! আপনি যদি মনে করেন আপনার বৈবাহিক সমস্যার আইনানুগ সমাধান প্রয়োজন, তাহলে এমন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে যান যে
কোন অন্যায়ের ব্যপারে ভুল সংশোধনের মাধ্যমে মধ্যস্থতা করে দিতে পারে, যাতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে আবার সুন্দর সমন্বয়ে মিল হয়ে যায়, অথবা316428_10150365611969496_40569674495_8125071_411692776_n-400x268
উভয়পক্ষের সম্মতিতে সৌহার্দপূর্ণভাবে বিচ্ছেদ করাতে পারেন।
৭) আপানর শাশুড়ির সাথে ভাল আচরণ করুন, যেমনটি আপনি চান আপানার স্বামী আপানার মায়ের সাথে করুক।
৮) ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে জানুন। অধিকার আদায়ের চেয়ে আপনার দায়িত্ব সঠিকভাবে সম্পাদনের ব্যাপারে আগে সজাগ হন।
৯) যখন সে ঘরে আসে, দরজায় এমন ভাবে ছুটে যান যেন আপনি তারই অপেক্ষায় ছিলেন। হাসিমুখে তাকে সালাম দিন।
১০) আপনার বাসস্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন; অন্তত আপনার স্বামী যতটুকু পরিচ্ছন্ন দেখতে পছন্দ করে।
১১) তাকে এমন বিষয়ে প্রশংসা করুন যে বিষয়ে তিনি নিজে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী নন (যেমন, চেহারা, বা বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি)। এটা তার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
আল্লাহ যেন সকল স্বামী স্ত্রীর বন্ধনকে হেফাজত করেন, এবং দ্বীনের শ্রেষ্ঠ আদব সমূহ বোঝার এবং তা কাজে লাগিয়ে সংসার জীবনকে সুন্দর ভাবে পরিচালনা করার তৌফিক দেন। আমীন।