বান্দরবানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির সঙ্গে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির গোলাগুলির পর ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা ও ব্যবহৃত গ্রেনেডের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই সংঘর্ষে বিজিবি সদস্যদের গুলিতে আরাকান আর্মির ৮ থেকে ১০ সদস্য আহত হয়েছে। তাদের কেউ কেউ মারাও যেতে পারে।
বান্দরবানের থানচির বড়মদক বিওপি ও বাতং পাড়া ঘটনাস্থল ঘুরে এসে বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ১১/১২ প্লাটুন বিজিবি ও ৪/৫ প্লাটুন সেনা সদস্য ওই এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সেখানে আরো জনবল পাঠানো হবে।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পেট্রোল দল অপারেশন শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে আমরা প্রচুর রাইফেল ও মেশিনগানের গুলির খোসা পেয়েছি। তাজা গুলিও পেয়েছি।
তিনি বলেন, আরাকান আর্মির সদস্যদের ব্যবহৃত বেল্ট পেয়েছি। এছাড়া আহত ব্যক্তিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার আলামতও পেয়েছি। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি- জলপাই রঙের পোশাক পরা ৮ থেকে ১০ জন আহত ব্যক্তিকে তারা নিয়ে যেতে দেখেছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ মারাও যেতে পারে।
বুধবার থানচির সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও আরাকান আর্মির মধ্যে ৫ ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলি হয়। এতে বিজিবির জওয়ান জাকির গুলিবিদ্ধ ও আবদুল গনি আহত হন।
ওই দিন সকাল সাড়ে ৯ টায় বিজিবির বড়মদক বিওপি ও বাতং পাড়া বিওপি থেকে একটি নিয়মিত টহল দল চারটি নৌকা করে টহল দিচ্ছিল।
এ সময় আরাকান আর্মির প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন সদস্য বিজিবির টহল দলটির ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। টহল দলটি দ্রুত নৌকা ঘুরিয়ে নিতে সক্ষম হওয়ায় এ যাত্রায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।