খোলা বাজার২৪ : শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০১৫
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
মঞ্জিলা আক্তার (২০) নামের ওই তরুণীকে দগ্ধ অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শুক্রবার ভোরে তার মৃত্যু হয় বলে নবাবগঞ্জ থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান।
মঞ্জিলা নবাবগঞ্জ উপজেলার সড়াইপাড়া গ্রামের মঞ্জুর রহমানের স্ত্রী।
পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘মোবাইলে কথা বলা নিয়ে’ মঞ্জুর ও তার স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে রাতে অগ্নিদদ্ধ অবস্থায় মঞ্জিলাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মঞ্জিলার বাবা মাহবুবুর রহমানের অভিযোগ, মঞ্জুরই তার মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, “তাদের সংসারে প্রায়ই অশান্তি হত। স্বামীই তাকে পুড়িয়ে মেরেছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, “দীর্ঘসময় স্ত্রীকে ফোনে কথা বলতে দেখে মঞ্জুর আপত্তি করেন। এ নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়। পরে মঞ্জিলা আরেক ঘরে গিয়ে দড়জা আটকে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় বলে মঞ্জুরের পরিবার দাবি করেছে।”
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মঞ্জুরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মঞ্জিলার লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।