খোলা বাজার২৪ : শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০১৫
পেঁয়াজের দাম কমে আসছে। বগুড়া শহরের আড়তগুলোতে গতকাল বুধবার পাঁচ কেজির এক পাল্লা দেশি পেঁয়াজ ৩৬০ টাকা ও বিদেশি পেঁয়াজ ২৭৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে; যা গত সোমবার ছিল যথাক্রমে ৪০০ ও ৩২৫ টাকা ষ ছবি: সোয়েল রানাপেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ঋণের সুদের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো যে ঋণ সুবিধা দেবে তার সুদ হার ১১ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা বলেছে, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রভাব স্থানীয় বাজারেও পড়েছে। এর ফলে ভোক্তা পর্যায়ে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে আমদানি পর্যায়ে ঋণের সুদের সর্বোচ্চ হার নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পেঁয়াজের আমদানি ঋণপত্রের (এলসি) মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ঢাকায় পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে গতকাল বুধবার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। সোমবার এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। এই বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই বললেই চলে। যেটুকু আছে তা মিলছে ৫৫ টাকার মধ্যে। সোমবার এর দাম ছিল ৭০ টাকা। অন্যদিকে, পাইকারি বাজারে কেজিতে ১৫ টাকা কমলেও খুচরা বাজারে এর তেমন কোনো প্রভাব নেই। এখনো দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ আমদানির জন্য গতকাল একটি দৈনিকে দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি দেয় টিসিবি। ওই দরপত্রের মাধ্যমে ২০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হবে। এর আগেই সংস্থাটি নিজস্ব ওয়েবসাইটে ২০০ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য দরপত্র আহ্বান করে।
এদিকে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করবে টিসিবি। এর সঙ্গে বিক্রি হবে ভোজ্যতেল ও চিনি।
টিসিবির চেয়ারম্যান এ কে এম ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানির ঈদের আগ পর্যন্ত খোলাবাজারে এই বিক্রির কার্যক্রম চলবে।