খোলা বাজার২৪ : শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০১৫
বিদেশের ছোট জাতের চিংড়ির শিল্প এবং স্বল্পমূল্যের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় গত এক দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হিমায়িত চিংড়ির বাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ।
গত দুই বছরে বাংলাদেশ থেকে মার্কিন বাজারে হিমায়িত চিংড়ির রফতানি ভয়াবহভাবে কমে গেছে। এর জন্য ছোট জাতের চিংড়ি শিল্পকে দায়ী করছেন রফতানিকারকরা।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে ২০১০-১১ অর্থবছরে যেখানে মার্কিন বাজারে চিংড়ি রফতানির পরিমাণ ছিল ৮১.৫৫ মিলিয়ন ডলার ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তা নেমে এসেছে ৩৫.২৬ মিলিয়ন ডলারে।
২০০৯-১০ অর্থবছরে মার্কিন বাজারে চিংড়ি রফতানির পরিমাণ ছিল ৭৬ মিলিয়ন ডলার, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ১১০ মিলিয়ন ডলার, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ছিল ১৪০ মিলিয়ন ডলার, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ছিল ১৪০ মিলিয়ন ডলার।
রফতানিকারকদের মতে, এক সময় বাংলাদেশের চিংড়ি রফতানির সবচেয়ে বড় বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে চিংড়ি রফতানির পরিমাণ ৮ শতাংশে নেমে এসেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ হিমায়িত খাদ্য রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম আমজাদ হোসেন জানান, ‘ছোট আকারের চিংড়ি শিল্প ও এর স্বল্পমূল্যের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারার কারণে ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রফতানির পরিমাণ কমে গেছে।’ তিনি আরও জানান, বৈশ্বিক মন্দার কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় ২০০৭-০৮ অর্থবছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের চিংড়ির বাজার কমে গেছে।
ভেনামেই নামে পরিচিত ছোট জাতের সাদা পায়ের চিংড়ির দাম কম হওয়ায় মার্কিন ক্রেতারা ক্রয়ের ক্ষেত্রে এটাকেই পছন্দ করছেন।
একজন রফতানিকারক জানান, বাংলাদেশে উৎপন্ন ব্ল্যাক টাইগার জাতের চিংড়ির চেয়ে ভেনামেই জাতের চিংড়ির দাম পাউন্ড প্রতি ২ থেকে ২.৫ ডলার কম।
চলতি অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ আরও কমে যেতে পারে বলেও তিনি জানান।
থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারতের মতো চিংড়ি রফতানিতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিপক্ষ দেশগুলো বিশ্ববাজারে নিজেদের বিশেষ জাতের চিংড়ি রফতানির পরিমাণ বাড়াচ্ছে। যদিও সরকারের উদাসীনতার কারণে বাংলাদেশে এ জাতের চিংড়ি উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।