শনিবার, ২৯ আগস্ট ২০১৫ : দেশী-বিদেশী লুটেরা গোষ্টির স্বার্থ রক্ষা আর ভারী করতেই গণবিরোধী সরকার গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আজ শনিবার এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “জনস্বার্থ বিরোধী বর্তমান আওয়ামী আগের মেয়াদেও কয়েকবার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করেছিল আন্তর্জাতিক বাজোরে তেলের মূল্যবৃদ্ধির দোহাই দিয়ে। আর এখন যখন আবারো বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করলো তখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এখন কি অজুহাত দাড় করাবে জনগনের সামনে? বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেছেন, অন্যদিকে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সঠিক কারণ ব্যাখ্যা না করে অনৈতিক সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী আবারো গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করা হবে বলে অগ্রিম ঘোষণা দিয়ে জনগণের সাথে পরিহাশ করার মত ধৃষ্টতা দেখাচ্ছেন। এর মাধ্যমে প্রমানিত হলো সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। যেহেতু বিনাভোটে তারা সরকার গঠন করেছে, সেহেতু জনগণের কাছে তাদের কোন জবাব দিহিতা নাই তাদের। তারা প্রকৃত অর্থে লুটেরাগোষ্টির স্বার্থ রক্ষা করতেই বার বার বিদ্যুত ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করছে।
তারা বলেন, দেশর মানুষের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে গণবিরোধী যে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে তার কারণে দেশের অর্থনীতিতে কু-প্রভাব প্রভাব পড়বে। রপ্তানি আয় কমে যাবে। গণশুনানির ৬ মাস পর সরকারের এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অনৈতিক ও বেআইনী। রীতি ও নিয়ম অনুযায়ী গণশুনানির ৯০ দিনের মধ্যে দাম বৃদ্ধি হবে কি হবে না সে ঘোষণা দিতে হয়। অথচ সরকার সকল নীতি-রীতি ভঙ্গ করে গণশুনানীর ৬ মাস পর গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষনা দিল। জানুয়ারীর গণশুনানীতে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পক্ষে সরকার কোন যুক্তি উপস্থাপন করতে পারে নাই।
প্রকৃত অর্থে দেশের জনগনের অর্থে লালিত জ্বালানী মন্ত্রণালয় জনগণের স্বার্থ রক্ষা করে না বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থ রক্ষার অভিযোগ করে নেতৃদ্বয় বলেন, এ সরকারের গত আমলে ৬ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেশি তাই বাড়ানো হয়েছে। বিশ্ববাজারে দাম কমলে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম আবার কমানো হবে। কিন্তু এখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও এদেশে দাম বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে। এমপি-মন্ত্রী সাহেবদের ভোটের প্রয়োজন হয় না। দেশ চালায় বিশ্বব্যাংক ও আমেরিকা। তাই বিশ্বব্যাংক ও আমেরিকাকে খুশি করানোর জন্য সরকার দেশের মানুষের স্বার্থ পরিপন্থী এ ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
নেতৃদ্বয় অবিলম্বে জনস্বার্থ বিরোধী এই সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানিয়ে বলেন, গ্যাস এবং বিদ্যুতের বর্ধিতমূল্য জনগণ মেনে নেবে না, নিতে পারে না। উচ্চমূল্যের এই বাজারে সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনগণের উপর নতুন করে দুর্দশা বাড়িয়ে দিবে। সরকার স্বেচ্ছাচারি হয়ে, গণরায়কে উপেক্ষা করে মূল্যবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাকাল জনগণ কোনোভাবেই তা মেনে নিতে পারে না।
নেতৃদ্বয় দেশের সকল রাজনৈতিক দল, শ্রেণী-পেশার মানুষকে সরকারের বিদ্যুত-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির মত গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে প্রয়োজনে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান।