রবিবার, ৩০ আগস্ট ২০১৫
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে চড়াও হয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এসময় অন্তত সাতজন শিক্ষক সরকারসমর্থক ও ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের মারধর করেছেন তারা।
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে রোববার সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে আন্দোলনরত শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালনে উপাচার্য প্রশাসনিক ভবনের সামনে এলে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের ব্যানার কেড়ে নেয় এবং শিক্ষকদের গলা ধাক্কা দিয়ে মারধর করে সরিয়ে দেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের নেতা অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল ইসলাম বলেন, আমাদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করেছে। আমাদের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। উপচার্য ছাত্রদের আমাদের ওপর লেলিয়ে দিয়েছে।তিনি নিজে এবং অধ্যাপক ইয়াসমিন হক ছাড়াও মারধরের শিকার শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গণি, অধ্যাপক এ ন ক সমাদ্দার, মোস্তফা কামাল মাসুদ, সহযোগী অধ্যাপক মো. ফারুক উদ্দিন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল ইসলাম জানান, রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা ছিল আন্দোলনরত শিক্ষকদের এই সংগঠনের। গত কয়েক মাস ধরে তারা এ কর্মসূচি পালন করে আসছে।
এদিকে উপাচার্য আমিনুল হক ভূইয়া একই দিনে বিকাল ৩টায় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক ডাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এরইমধ্যে উপাচার্যকে সমর্থন দিয়ে আসা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভোর সাড়ে ৫টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। আন্দোলনরত শিক্ষকরা ব্যানার নিয়ে সেখানে যান সকাল সাড়ে ৭টার দিকে।
সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে উপাচার্য প্রশাসনিক ভবনের সামনে এলে ছাত্রলীগ কর্মীরা ব্যানার কেড়ে নেয় এবং শিক্ষকদের মারধর করে সরিয়ে দেয়। এ ফাঁকে উপাচার্য ভবনে ঢুকে দোতলায় নিজের কার্যালয়ে চলে যান। উপাচার্য ভেতরে চলে যাওয়ার পর ছাত্রলীগ কর্মীরা শিক্ষকদের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে নতুন করে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তাদের ধাক্কায় অধ্যাপক ইয়াসমিন হক মাটিতে পড়ে যান।
এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, আপনারা তো সবই দেখছেন। আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না। নো কমেন্টস।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি পার্থ বলেন, বাধা দেওয়ার বিষয়টি সাংগঠনিক কোনো সিদ্ধান্ত না। এটা যারা যার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।