রবিবার, ৩০ আগস্ট ২০১৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলে গভীর রাতে ইসলামী ছাত্র শিবিরের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শনিবার রাতে এ ঘটনার সময় একটি কক্ষে ভাংচুরও চালানো হয়। পরে রাত ৩টার দিকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মতিহার থানার ওসি অশোক চৌহান বলেন, “রাতে ওই হলে শিবির ও ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। একটি কক্ষে সামান্য ভাংচুর হয়েছে। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি।”
এ সময় তিন শিবিরকর্মীকে আটক করে তাদের কাছ থেকে সংগঠনের কিছু বই-পত্র জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আটকরা হলেন- অর্থনীতি বিভাগের তানজির আহমদ, পরিসংখ্যান বিভাগের আপন এবং আরবী বিভাগের এনায়েত। তারা সবাই তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, শিবির নেতা আবদুস সালাম কর্মীদের নিয়ে হলের ২২৬ নম্বর কক্ষে জড়ো হয়েছেন খবর পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান, গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম শাওন, ওই হলের ছাত্রলীগ কর্মী ইমাম মেহেদীসহ কয়েকজন নেতাকর্মী সেখানে যান। এ সময় শিবির নেতা সালাম পালিয়ে যান।
পরে ছাত্রলীগকর্মীরা শিবিরকর্মীদের ধরতে হলের বিভিন্ন কক্ষে খোঁজ শুরু করে। তারা হলের ২২৪, ২২৬ ও ২০১ নম্বর কক্ষ থেকে তানজির, আপন ও আশিককে আটক করে মারধর করেন।
এক পর্যায়ে আশিক ছাত্রলীগের কাছ থেকে পালিয়ে যায়। পরে হলের ৪১৯ নম্বর কক্ষে শিবিরের বই পাওয়া যায় এবং শিবির নিয়ন্ত্রিত হিসেবে পরিচিত ওই কক্ষে ভাঙচুর করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
খবর পেয়ে পুলিশ এলে তানজির ও আপনকে তাদের হাতে সোপর্দ করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে পুলিশ হলে তল্লাশি চালায়। এসময় এনায়েতকে আটক করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমান অভিযোগ করেন, শিবির নেতা সালাম ফোনে হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের মারধরের হুমকি দিয়েছিলেন।
“তাই তাকে ধরতে ২২৬ নম্বর কক্ষে গিয়েছিলাম। এ সময় শিবিরকর্মীরা হলের সব বারান্দার লাইট বন্ধ করে আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। আমাদের কর্মী নাহিদকে রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। পরে আমরা দুই শিবির কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছি।”
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অনীল চন্দ্র দেব বলেন, “রাতে কিছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। এখন হলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক”।