সোমবার, ৩১ আগস্ট ২০১৫ : সিলেটে বহুল আলোচিত শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সোমবার বেলা ১১টায় মামলার শুনানি শেষে মহানগর হাকিম আদালত-১ এর বিচারক সাহেদুল করিম এই নির্দেশ দেন।
রাজনের বাবার মনোনীত আইনজীবী মসরুর আহমদ চৌধুরী শওকত জাগো নিউজকে জানান, আদালত শুনানি শেষে পলাতক আসামি সৌদিতে আটক কামরুল ইসলাম, তার ভাই শামীম আহমদ ও পাভেল আহমদকে অবিলম্বে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য চুড়ান্ত নোটিশ হিসেবে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট শওকত আরও জানান, মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত।
এর আগে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিসহ তাদের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। ইতোমধ্যে পুলিশ আসামিদের মালামাল ক্রোক করে আদালতকে অবগত করেছে।
প্রসঙ্গত, হত্যাকাণ্ডের একমাস আটদিনের মাথায় গত ১৬ আগস্ট রাজন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে সৌদি আরবে আটক মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম এবং তার ভাই শামীম আহমদ ও পাভেল আহমদকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
এছাড়া বাকি অভিযুক্তরা হচ্ছেন কামরুলের ভাই আলী হায়দার, মুহিদ আলম, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উলাহ ও আয়াজ আলী।
এদিকে রাজন হত্যা মামলায় গ্রেফতার মুহিত আলমের স্ত্রী লিপি বেগম এবং শ্যালক ইসমাইল হোসেন আবলুছের নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে ১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজনকে বর্বরোচিত নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। সেই নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর দেশ-বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
রাজন হত্যা মামলায় ইতোমধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর মধ্যে আটজন দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া রাজন হত্যাকাণ্ডের পর খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টাসহ নানা অভিযোগে পুলিশের এক (ওসি-তদন্ত) ও দুই উপ-পরিদর্শককে (এসআই) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।