মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দলের চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দলের প্রতিষ্ঠাতা ও জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি।
এসময় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, এনাম আহমদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, তাঁতী দলের সভাপতি হুমায়ুন ইসলাম খান, মহিলা দলের সভাপতি নুরী আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা ও ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন প্রমূখ।
দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে হাজার হাজার নেতাকর্মী সকাল থেকেই শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধি চত্বরে জড়ো হন। তারা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও নিজ নিজ এলাকার নেতাদের ছবি সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান নেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠবার্ষিকী উপলক্ষে খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচি উপলক্ষে আগে থেকেই সরকারের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। জাতীয় সংসদ ভবনের উত্তর পাশের জিয়ার সমাধিতে প্রবেশের মূল রাস্তার শুরুতেই পুলিশ ব্যারিকেড সৃষ্টি করে রাখে।
ওই রাস্তা দিয়েই সমাধিতে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। পরে নেতাকর্মীরা দলবদ্ধ হয়ে লেকের পূর্ব পাশ দিয়ে সমাধি চত্বরে প্রবেশ করেন। খালেদা জিয়াসহ দলের সিনিয়র নেতারা পূর্বপাশের বিকল্প রাস্তা দিয়ে গাড়িযোগে সমাধিস্থলে এসে পৌঁছান।