মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
বিশ্বের বৃহত্তম বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় জার্মানির পঞ্চম বৃহত্তম শহর ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে। প্রতি বছরের অক্টোবর মাসে এই বইমেলা শুরু হয়। বইপ্রেমী পাঠক, লেখক এবং প্রকাশকদের কাছে এটি যেন এক তীর্থ স্থান। এবারই প্রথমবারের মতো জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের প্রকাশনা সংস্থা। বাংলাদেশ জ্ঞান পুস্তক ও প্রকাশনা সমিতির সভাপতি ওসমান গনি গণমাধ্যমকে মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসমান জানান, বিভিন্ন সময় পৃথকভাবে কেবল পর্যবেক্ষক কিংবা দর্শনার্থী হিসেবে গেলেও পৃথিবীর বৃহত্তর এ মেলায় অংশ বাংলাদেশ নেয়নি। এ বারই প্রথম অংশ নিচ্ছি। এটা আমাদের দেশের প্রকাশনা সংস্থার জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক সংবাদ।
ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলাবিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী বইমেলা। জার্মান ভাষায় ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলাকে বলা হয় ফ্রাঙ্কফুর্টার বাখমেসে। ১৭ শতক পর্যন্ত এটিই ছিল ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বইমেলা। পরে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কারণে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে এ মেলা। এর মাঝে শেষ হয় প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই ফ্রাঙ্কফুর্টের বইমেলা তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে শুরু করে। ১৯৪৯ সালে এ মেলাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয় জার্মান প্রকাশক সমিতি। সাধারণত বছরের অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি মেলা শুরু হয়। মেলার সময়কাল পাঁচ দিন। মেলার আয়োজক ‘জার্মান পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার অ্যাসোসিয়েশন’।
প্রতি বছরই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার প্রকাশক, বিক্রেতা, লেখক, পাঠক, দর্শক ও সাংবাদিকের অংশগ্রহণে মুখরিত হয় ওঠে মেলা। এ বইমেলা এখন অনেকটা বইয়ের স্টক এক্সচেঞ্জ। প্রতি বছর এখানে চুক্তি হয় কোটি কোটি ইউরোর। প্রতিষ্ঠার পর ৫০০ বছরের ঐতিহ্য পেছনে ফেলে আজ জার্মানির এ বইমেলা হয়ে উঠেছে বিশ্বের পাঠক-লেখক-প্রকাশকের প্রাণের মেলা।