খোলাবাজার ঃ : সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত ও মন্ত্রিত্ব হারানো আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দশম সংসদের সপ্তম অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন তিনি। তিনি কারো সঙ্গে কথা না বলে নিজ আসনে গিয়ে বসেন।
সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজসহ সংসদের সিনিয়র সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় লতিফ সিদ্দিকী হজ, তবলিগ জামাত, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাংবাদিকদের সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এরপর প্রথমে মন্ত্রিসভা থেকে এবং পরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে। ওই সময়ে দেশের বিভিন্ন আদালতে তার নামে একাধিক মামলাও হয়। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ভারত হয়ে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দেশে ফেরেন সাবেক এই মন্ত্রী। পরে ২৫ নভেম্বর ধানমণ্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলহাজতে পাঠান আদালত। ২৯ জুন জামিনে মুক্তি পান তিনি।
গত ১৩ জুলাই লতিফ সিদ্দিকীর সাংসদ পদ বাতিলের জন্য জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের পক্ষে চিঠি দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। চিঠিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় গঠনতন্ত্র অনুসারে লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। যেহেতু আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদও নেই, সেহেতু এই দলের মনোনয়নে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য পদেও তাকে বহাল রাখা সমীচীন হবে না। এরপর লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে চিঠি দেন স্পিকার। ওই চিঠির সঙ্গে সৈয়দ আশরাফের চিঠিটিও যুক্ত করেন স্পিকার। চিঠিটি পাওয়ার পর ইসি আওয়ামী লীগ ও লতিফ সিদ্দিকীর কাছে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চান।
২৩ আগস্ট ইসির শুনানিতে উপস্থিত হন লতিফ সিদ্দিকী। ৬ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল।
(খোলাবাজার/জিএম/০১-০৯-২০১৫)