বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজম্মেল হক বলেছেন, এ বছর বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ওপরে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। তিনি বলেন, পাঠ্যসূচিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিবরণও যুক্ত করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, যারা বিসিএস পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের অনেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানে না।
মন্ত্রী আজ ঢাকার মতিঝিলের বিসিআইসি মিলনায়তনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রতিষ্ঠানিক ইউনিট কমান্ড সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল ওই আলোচনা সভাটি। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভাইস-চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের (সিবিএ) সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া প্রমূখ। সভাপতিত্ব করেন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি হেদায়েতুল বারী।
মুক্তিযোদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ বয়স নির্ধারণে আদালতের মতকে আমলে নেওয়া হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরে নেওয়ার সর্বোচ্চ বয়স হওয়া উচিত ৬৫ বছর। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সন্মুখ সমরের স্থানগুলো ও বধ্য ভূমিকে সংরক্ষণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ বনে-বাদরে , শিয়াল-কুকুরে খেয়েছে। তাই যুদ্ধাপরাধীদের লাশের জানাজা প্রকাশ্যে হতে দেওয়া যায় না। তাদের নিজনিজ বাসা-বাড়ি বা অন্য কোনো স্থানে দাফন করা হোক।