Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

27বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
এক মাসের ব্যবধানে আবার কমলো ব্যাংক ঋণের সুদ। জুলাই মাসে ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার কমে দাঁড়িয়েছিল ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। জুন মাসে যা ছিল ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। সুদহারের এ নিম্নমুখী প্রবণতায় ঋণ আমানত ও সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) আরও কমেছে।

জুলাই মাস শেষে ঋণ ও আমানতের গড় সুদহার ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ দাঁড়ায়। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ঋণের সুদহার আরও কমানোর লক্ষ্যে আমানতের বিপরীতে সুদহার কমিয়েছে। কিন্তু বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলো ঋণ-আমানতের সুদহার কমাতে পারছে না। যদিও এই হার ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত জুলাই মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ঋণের ক্ষেত্রে ১০ দশমিক ৩১ শতাংশ হারে সুদ আদায় করেছে। আমানতের বিপরীতে দিয়েছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ সুদ। স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশীয় পয়েন্টে।

বিশেষায়িত ব্যাংকের স্প্রেড মাত্র ১ দশমিক ৯৫ শতাংশীয় পয়েন্ট; যা সবচেয়ে কম। এই খাতের ব্যাংকগুলোর ঋণের ক্ষেত্রে গড় সুদহার ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। তবে বিদেশি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর স্প্রেড এখনও ৫ শতাংশীয় পয়েন্টের উপরে রয়েছে।

বিদেশি ব্যাংকগুলো আমানতের বিপরীতে ৩ দশমিক ০২ শতাংশ সুদ দিয়ে ঋণের বিপরীতে আদায় করছে ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ সুদ। এ খাতের ব্যাংকগুলোর স্প্রেড সবচেয়ে বেশি, যা ৭ দশমিক ৭৭ শতাংশীয় পয়েন্ট।

জানা গেছে, প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ জিডিপির ২২ শতাংশ থেকে বাঁড়িয়ে ২৪ শতাংশে উন্নীত করা হবে। কিন্তু ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম বাঁধা হলো বিদ্যুৎ ও গ্যাস প্রাপ্তিতে বিলম্ব, বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকরণে জটিলতা, জমির অভাব ও ঋণের উচ্চ সুদহার।

সূত্র জানায়, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের দীর্ঘদিনের দাবি ব্যাংক ঋণের সুদহার ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা।