খোলাবাজার ঃ দেশে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না— এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, ‘এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন কবে হবে জানি না। আমার জীবদ্দশায় হয়ত দেখে যেতে পারব না।’
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে মঙ্গলবার রাতে ওসমানী স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
যারা সরকারে থাকে তাদের পরাজিত করা যায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি কোথায় যাচ্ছে জানি না। বাঙালি অজেয় জাতি, তাদের কেউ পরাজিত করতে পারবে না। জানি, আবার সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। দেশে নতুন সরকার আসবে।’
এরশাদ বলেন, ‘এম এ জি ওসমানী ছিলেন আপোসহীন নেতা। বঙ্গবন্ধু বাকশাল কায়েম করলে তিনি সংসদ ছেড়ে দেন। তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের পক্ষে আপোসহীন। আজ তার নাম নেই, এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আমি করেছি। ঘুরে ঘুরে আমি জমি পছন্দ করেছি। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাকে ডাকা হয় না। আশা করি একদিন আসবে, যেদিন আমাকে ডাকা হবে।’
ওসমানী স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সৈয়দ আব্দুল মুক্তাদিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা ইনাম আহমেদ চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজ আমাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আমি জজ সাহেবদের বলেছি, সমালোচনা সহ্য করতে হবে। উদারতা দেখাতে হবে।’
সরকারি উদ্যোগে ওসমানীর জন্মদিন পালন না করার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সামান্য সর্দি-কাশি হলেই রাষ্ট্রপতি বিদেশে যান। এখানে আসতে পারেন না কেন।’
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘খালেদা জিয়া বিধবা হতেন যদি ৩ নভেম্বর জেনারেল ওসমানী জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত না করতেন। আমাদের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ নেই। প্রধানমন্ত্রীর মধ্যেও নেই, খালেদা জিয়ার মধ্যেও নেই। ন্যূনতম কৃতজ্ঞতাবোধ না থাকলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না।’
(খোলাবাজার/জিএম/০২-০৯-২০১৫)