ঢাকা, বুধবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : ছাত্রলীগ থেকে আগাছা পরিষ্কারের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি বলেছে, ‘শুধু ছাত্রলীগ নয়, ক্ষমতাসীন দলের যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী লীগসহ সব জায়গা থেকে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভায় যেসব ‘পরগাছা’ রয়েছে তাদেরও মন্ত্রিপরিষদ থেকে বাদ দিতে হবে। তিনি যদি এ কাজটি আগে থেকে শুরু করতেন তাহলে দেশের জন্য তা মঙ্গলজনক হতো।’
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখপাত্র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ সব কথা বলেন।
উত্তরবঙ্গের নাটোর জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ স্থানীয় নেতাদের নামে নতুন করে আরও তিনটি মামলা ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। এ সময় রিপন অভিযোগ করেন, এ সব সন্ত্রাসী ঘটনা ও বিএনপি নেতাদের নামে মিথ্যা মামলায় স্থানীয় ‘বিনা ভোটের এমপি’ আহাদ আলী সরকার জড়িত। তার নির্দেশে ও তার একান্ত অনুগত স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর বেপরোয়া নির্যাতন ও গ্রেফতার বাণিজ্য চালাচ্ছে।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংগঠনের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ও খাই খাই নিয়ে মারামারি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে এলাকা ছাড়া করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রী পরিষদ থেকে পরগাছা মন্ত্রীদের বাদ দিতে হবে। এ সব পরগাছা দিয়ে দেশের উন্নতি হয় না।
বিভক্ত দুই ঢাকার মেয়রদের উদ্দেশ করে রিপন বলেন, ভোটের আগে দুই মেয়র ‘লোক দেখাতে’ ঝাড়ু হাতে নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন নগর পরিষ্কার করার জন্য। এখন মাঠে নামলে তারা পানিতে ডুবে যেতে পারেন। তাই এবার সেসব ‘জালভোটের’ মেয়ররা ঢাকার রাজপথে নৌকায় চড়ে ‘টিনের ডিব্বা’ দিয়ে ঢাকার পানি সেচতে পারেন। তাহলে হয়ত নগরবাসী অসহনীয় যানজটের পাশাপাশি ‘জলজট’ থেকে কিছুটা রক্ষা পেত। এ সব ঝাড়ুধারী কাজকর্ম দিয়ে ঢাকার মেয়র হওয়া যায় না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নাটোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী শাহ আলমসহ নাটোরের তিনটি পৌরসভার মেয়র ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।