কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় আর চোখে পড়ে না কাঠের তৈরী ঢেকি আটাও কোটে না কেউ। গ্রাম গঞ্চের বাড়ীগুলোয় আগের মত আর আটাও কুটতে দেখা যায় না। আধুনিক যুগে এখন গৃহবধুরা ঢেকির পরিবর্তে বৈদ্যুতিক মেশিন (মোটরে) আটা কুটার কাজ সেরে ফেলে এক সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গ্রাম গঞ্চের পাড়া মহল্লা গুলোর গৃহবধুরা বিভিন্ন তিথিতে কাঠের ঢেকি দিয়ে আটা তৈরী করত বর্তমানে আধুনিক যুগে গৃহবধুদের আটা কোটার কৌশল পরিবর্তন হয়েছে। এখন তারা কাঠের তৈরী ঢেকির পরিবর্তে বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে আটা তৈরীর কাজ সেরে ফেলে। এক সময় গৃহবধুরা সকালে রান্নার কাজ সেরে পরিবারের স্বামী সন্তানদের খায়ানোর পর কিংবা রাতে ঘুমানোর আগে গভীর রাত পর্যন্ত আটা তৈরীর কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। সেই সময় আটা তৈরীতে ২-৩ জন গৃহবধু নানা ধরনের আঞ্চলিক গীতি গানে মেতে থাকত। এভাবে কাজের মধ্যে গৃহবধুরা বিনোদনের মেতে উঠতো। তারা এভাবে কাজের মধ্যে বিনোদনে মেতে থাকায় তাদের শারিরীক পরিশ্রম কখন বুঝে উঠতে পারত না। এক সময় গ্রাম গঞ্ছের প্রভাবশালী ব্যক্তিতে তাদের কাঠের ঢেকি দিয়ে আটা কোটার প্রচলন থাকলেও আজ সেই বাড়ী গুলোতে কাঠের ঢেকি চোখে পড়ে না। এখন প্রতিটি গ্রামে ২/১টি করে কাঠের ঢেকি থাকলেও তার ব্যবহার খুব কম হচ্ছে। গত মঙ্গলবার স্বরজমিন উপজেলার বামুনিয়া এলাকায় গিয়ে ঐ গ্রামের সম্বন্ত এক মসলিম পরিবারে বাড়ীতে কাঠের ঢেকি চোখে পড়ে। ঐ বাড়ীর এক গৃহবধু জানায় প্রতি ঈদে তাদের দেবর যা ও তাদের সন্তানরা গ্রামের বাড়ীতে এল ঐ কাঠের ঢেকি ব্যবহার করে আটা তৈরী করা হয়। সেই আটা দিয়ে তৈরী করা হয় বিভিন্ন ধরনের পিঠা। আজও ঐ ধরনের অভিযাত শ্রেণির লোকজনের বাড়ীতে রাখা হয়েছে কাঠের তৈরী ঢেকি। এছাড়াও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নে পাড়িয়া ইউনিয়নে বামুনিয়া গ্রামের আব্দুল খালেক ও সাদেকুল ইসলামের বাড়ীতে কাঠের তৈরী ঢেকি দিয়ে আটা তৈরী করতে দেখা গেছে। ঐ দুই বাড়ীর লোকজন জানায় শীত মৌসুমে তাদের পাড়া ও গ্রামের গৃহবধুরা পিঠা কুলি তৈরী করার জন্য তাদের বাড়ীতে আটা কুটার জন্য আসে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাড়া প্রতিবেশীরা পর্যায় ক্রমে আটা তৈরী করে নিয়ে যায়। এব্যাপারে বিভিন্ন এলাকার কয়েকজন গৃহবধু জানায় ঢেকিতে কোটা আটায় পিঠা ভাল হয়। আধুনিক যুগে মেশিনের তৈরী আটার পিঠা ভাল হয় না।