Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

18বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
মাথাব্যথার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। বেশিরভাগ মানুষই মাথার যন্ত্রণা কমাতে ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করেন৷ এই ধরণের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক বেশি ক্ষতিকর৷ তাই ওষুধ না খেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে এ ব্যথা দূর করতে চেষ্টা করুণ। তবে দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা অবশ্যই চিন্তারবিষয়।

মাথাব্যথার মত সাধারণ বিষয়ও অবহেলা করা উচিত নয় কারণ এর আড়ালে থাকতে পারে ভিন্ন কোন রোগ যা হয়ত সঠিক চিকিৎসায় সম্পূর্ণ ভাল হয়ে যেতে পারে। আসুন জেনে খুব সহজ উপায়ে মাথাব্যথা উপশম করার বেশ কিছু উপায়, যা অবলম্বন করলে খুব সহজেই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়:

১। পানি:
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পানিশূন্যতার কারণে মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাই পানি পান করে সহজেই আপনি মাথা ব্যথা সারিয়ে তুলতে পারবেন। যখন আপনার মাথা ব্যথা সাধারণ পর্যায়ে থাকবে তখন একগ্লাস পানি পান করে নিন । এরপর ধীরে ধীরে অল্প করে পানি পান করুন। তবে মাথা ব্যথার সময় যেকোন কোমল পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

২। আইস প্যাক:
এটি মাথা ব্যাথা কমানোর আক্ষরিক একটি পদ্ধতি। হাল্কা মাথা ব্যাথা বা খুব বেশি মাথা ব্যথার সময় আইস প্যাক বা বরফের প্যাকেট মাথার উপর ধরলেও মাথা ব্যাথা কমে যায়।

৩। হট ওয়াটার:
মাথা ব্যথার জন্য গরম পানি খুব উপকারী। এ জন্য একটি গামলায় গরম পানি নিন আর ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার সেই গরম পানিতে মিশিয়ে একটি টাওয়েল সেই পানিতে চুবিয়ে মাথায় ধরুন দেখবেন মাথা ব্যথা সেরে যাবে।

৪। লেবু:
লেবু দেহের এসিড-এলকালাইন (acid-alkaline ) এর মাত্রা ঠিক রাখে তাই মাথা ব্যথার জন্য লেবু খুব উপকারী। মাথা ব্যথার সময় কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। পেটে গ্যাসের সমস্যা হলেও অনেক সময় মাথা ব্যথা করে থাকে।

৫। অ্যাপল:
আপেল ও আপেল সিডার ভিনেগার উভয়ই মাথা ব্যথা হঠিয়ে দিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তারা শরীরের অ্যাসিড-ক্ষারীয় ভারসাম্য পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে। উপরন্তু, কেবল সবুজ আপেলের গন্ধ মাইগ্রেনের মাথাব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।

৬। মেন্থল:
মাইগ্রেইন এর সমস্যা দূর করার জন্য মেন্থল একটি অনেক ভালো উপকরণ। শতাব্দী ধরে মাথা ব্যথা দূর করার জন্য মেন্থল ব্যবহার করা হচ্ছে। চা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পানীয় এর সাথে মেন্থলের ব্যবহার করতে পারেন।

অনেক দিন যাবৎ যদি মাথা ব্যথায় ভুগতে থাকেন অর্থাৎ সমস্যাটা যদি ক্রনিক হয়ে থাকে তাহলে ভালো এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বলুন, চিকিত্সা নিন। আশা করি ঠিক হয়ে যাবেন।-সূত্র: টপটেন রিমেডিস।