Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

53বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে। চলবে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর ফিরতি টিকিট ২৩ সেপ্টেম্বর বিক্রি শুরু হয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রেলভবনে রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এ তথ্য জানান।

ঈদুল আযহা উপলক্ষে মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে রেল ভবনে অগ্রিম টিকিট বিক্রি সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভাশেষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে রেলমন্ত্রী জানান, ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে বিক্রি হবে ২০ সেপ্টেম্বরের টিকিট। ১৬ সেপ্টেম্বর বিক্রি হবে ২১ সেপ্টেম্বরের, ১৭ সেপ্টেম্বর ২২ সেপ্টেম্বরের, ১৮ সেপ্টেম্বর ২৩ সেপ্টেম্বরের, ১৯ সেপ্টেম্বর বিক্রি হবে ২৪ সেপ্টেম্বরের অগ্রিম টিকিট।

একইভাবে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে পাওয়া যাবে ফিরতি টিকিট। এদিন বিক্রি হবে ২৭ সেপ্টেম্বরের টিকিট। ২৪ সেপ্টেম্বর বিক্রি হবে ২৮ সেপ্টেম্বরের, ২৫ সেপ্টেম্বর বিক্রি হবে ২৯ সেপ্টেম্বরের, ২৬ সেপ্টেম্বর ৩০ সেপ্টেম্বরের টিকিট এবং ২৭ সেপ্টেম্বর বিক্রি হবে ১ অক্টোবরের টিকিট।

মন্ত্রী জানান, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। একজন যাত্রী ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন। ঈদের সময় বিক্রির টিকিট ফেরত দেওয়া হবে না বলে মন্ত্রী জানান।

মুজিবুল হক বলেন, বর্তমানে রেলের মোট ৮৮৬টি কোচ রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে ১৩৮টি কোচ ঈদের আগেই ট্রেনের বহরে যুক্ত হবে।

তিনি জানান, ১৯৯টি ইঞ্জিন চালু রয়েছে; ঈদ সামনে রেখে মেরামতকৃত আরো ২৫টি বহরে যুক্ত হবে।

মন্ত্রী বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন সারাদেশে এক লাখ ৮০ হাজার টিকিট ইস্যু করা হয়। ঈদ মৌসুমে অতিরিক্ত চাপ মোকাবেলায় প্রতিদিন সব ট্রেন মিলিয়ে দুই লাখ ৫০ হাজার টিকিট বিক্রি করা হবে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন রুটে পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এই ট্রেনগুলো ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ, ঢাকা-খুলনা, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে ঈদের আগে তিন দিন এবং ঈদের পরে সাতদিন চলবে। এছাড়া ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া রুটে ঈদের দিন দুই জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় রোধে তারা সতর্ক রয়েছেন। এবারও ঈদে ট্রেন চলাচল নির্বিঘœ করতে রেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। যাত্রী নিরপাত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ছাড়াও রেলওয়ের দুটি নিরাপত্তা বাহিনী যাত্রীদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। যেখানেই যাত্রী হয়রানি, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা দেখা যাবে সেখানেই যাত্রীদের নিরাপত্তায় সক্রিয় হবে এসব নিরাপত্তা বাহিনী।

সংবাদক সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত রেল সচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, র‌্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।