বৃহস্পতিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দিতে পারলে লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এক্ষেত্রে তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে আশ্বস্ত করেছে সরকার।
পাশাপাশি একই বিষয়ে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে বৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্তরা। এদের সংগঠন আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান বরাবর এ বিষয়ে গোপনে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে সরকারের অনুমোদন ছাড়া আন্তর্জাতিক মোবাইল কল আদান-প্রদানকারীরা অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।
বৃহস্পতিবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে সিনিয়র সহকারী সচিব এম রায়হান আখতার স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তি সূত্রে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানা গেছে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, স্বাভাবিকভাবে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে দৈনিক ১১ কোটি মিনিটের বেশি কল আসে। কিন্তু সম্প্রতি কল আসার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে নয় কোটি মিনিটের কিছু বেশি।
বাকি প্রায় দুই কোটি মিনিট ইনকামিং কলের হিসাবে পাচ্ছে না সরকার। এ কারণে অবৈধ ব্যবসায়ীদের ধরতে নতুন কৌশল নিল টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
এ সব ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তিদের পরিচয় বা ঠিকানা সরকারকে জানালে তথ্য প্রদানকারীকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে তথ্য প্রদানকারীর দেওয়া তথ্য সঠিক হলেই কেবল পুরস্কারের অর্থ মিলবে।
এদিকে আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে তাদের ঘোষণার কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘টেলিকম নীতিমালা অনুযায়ী দেশে অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এর পরেও কেউ কেউ এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কারা এবং কীভাবে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ প্রদানকারীকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে।’
বেসরকারি এই সংগঠনটিও তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখার অঙ্গীকার করেছে।
২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, অবৈধ আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদান দণ্ডনীয় অপরাধ। আইনবিরোধী এমন কাজে লিপ্তদের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এবার অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের ধরতে নতুন এই উদ্যোগ এলো সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায় থেকে।