Wed. Oct 22nd, 2025
Advertisements

13বৃহস্পতিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সারা দেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে ভোট গণনা ছাড়া ফলাফল ঘোষণা করা বে আইনি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (নীল) প্রার্থী অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। তিনি পুনরায় নির্বাচনের দাবি করেছেন। নীল প্যানেলের প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক এ সভাপতি এই দাবি জানান।

তবে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ দাবিকে নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচনের পাঁচ দিন পর কেন এ দাবি উত্থাপন করা হয়েছে?

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী মোট ১৪টি পদের মধ্যে আওয়ামী লীগপন্থী সাদা প্যানেল ১১টিতে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপিপন্থী নীল প্যানেল মাত্র তিনটি পদে জয়লাভ করেছে।

এর পরই সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘নির্বাচনে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম অনিয়ম, পক্ষপাতিত্ব, কারচুপি করেছেন। এ ছাড়া ভোট পুরোপুরি গণনা না করে ফলাফল ঘোষণা করাটা বে আইনি। তাই নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন দিতে হবে।’

নির্বাচনে অনিয়ম ও যোগসাজশের সমন্বয় করেছে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও বিভিন্ন জেলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা (পিপি)—এমন অভিযোগ করে অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের যোগসাজশে এক হাজার ৫৯৭ জন ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বে আইনি। এ ভোটারদের ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।

‘আমরা বাদ যাওয়া ওই আইনজীবীদের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি (অ্যাটর্নি জেনারেল) আমাদের কথা রাখেননি। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ হাজার চারজন আইনজীবীর মধ্যে এক হাজার ৩৪২ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।’

সংবাদ সম্মেলনে এ জে মোহাম্মদ আলী আরো অভিযোগ করেন, তালিকাভুক্ত সাত হাজার ৪১৭ জন আইনজীবী তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ না করতে পেরে অপমানিত হয়েছেন, যা বার কাউন্সিলের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা।