খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫: গতকালও তিনি ছিলেন গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট। অথচ আজ কারাগারে তিনি। দুর্নীতির অভিযোগ পুরোপুরি প্রমাণিত না হলেও তার আগেই দেশটির সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ওতো পেরেজ মলিনাকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে পাঠানো হয়। ঘটনার সময় ওতো পেরেজের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দাবি করা হলে তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
পুলিশ তাকে কারাগারে রাখার পরে প্রতিক্রিয়ায় পেরেজ বলেন, আমাকে কারাগারে রাখার প্রয়োজন নেই, আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। এছাড়া আমি পাখি হয়ে উড়েও যাব না বলে জানান সদ্য সাবেক এ প্রেসিডেন্ট। তার পদত্যাগের পর ভাইস প্রেসিডেন্ট এলেজান্দ্রে মালডোনাডো অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৪ জানুয়ারি ২০১৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
৬৪ বছর বয়সী পেরেজ মিলিনার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তার মুখপাত্র জর্জি অর্থেগি। তিনি জানান, পেরেজের বিরুদ্ধে এখনো কোন আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র প্রকাশ করা হয়নি। তার পদত্যাগের একদিন পরেই তাকে আটক করে কারাগারে রাখা হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ এখনো প্রমাণিত হয়নি।
মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ওতো পেরেজের ওপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিচারক মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল গ্লাভেজ । রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে যে কোন অভিযোগ থেকে পাওয়া দায়মুক্তি রহিত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পর পেরেজের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে শুল্ক খাতে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ওতো পেরেজের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হলে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পরে প্রেসিডেন্ট ওতো পেরেজ মলিনার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ জালিয়াতি পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যে দায়মুক্তি পেতেন তা প্রত্যাহার করে নেয়ার একদিন পর এই পরোয়ানা জারি করা হলো। একই সঙ্গে তার দেশ ত্যাগ করার উপ যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় তার ভিত্তিতেই পেরেজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র: প্রেসটিভি, এএফপি, নিউইয়র্ক টাইমস।