রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
পৃথিবীর সমস্ত দরজা যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন আসে প্রতিপালকের পক্ষ থেকে কোন সাহায্য। অনেক সময় দেখা যায় অবলা জীবরা তাদের স্নেহ-ভালবাসার ছাপ রাখা শুরু করে। এমনই এক আশ্চর্য জনক ঘটনা ঘটল চিলির রাজধানী স্যান্টিয়াগো থেকে ১,২৪০ মাইল দূরে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, দু’বছরের একটি শিশুকে ফেলে অজানা গন্তব্যে চলে যায় তার মা। খিদের জ্বালায় ঘরের বাইরে বেরিয়ে পড়ে সে। ছোট্ট এই শিশুর কান্না কোনো মানুষের মনে ছুঁতে পারেনি। অবশেষে মানবতা যেখানে শেষ সেখান থেকেই শুরু জীবের ভালবাসা।
নিষ্পাপ শিশুটির কান্না দেখে এগিয়ে আসে এক কুকুর।
ওই কুকুরটি গর্ভবতী। আবার ক’দিন বাদেই মা হতে চলেছে। হবু সারমেয় মা বুকে টেনে নেয় শিশুটিকে। এরপর নিজের বুকের দুধ খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখে ওই দু বছরের শিশুটিকে।
গত কিছুদিন যাবত একেবারে নিজের সন্তানের মত শিশুটিকে আগলে রাখে কুকুরটি। আরও মজার কথা সাধারণ মানুষ শিশুটিকে দেখলেও একেবারে আমল দেয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেয় হাসপাতালের পাশে এক গ্যারেজে একটা কুকুর নাকি একটা শিশুকে আগলে রাখছে। ক’দিন পর পুলিশ গিয়ে খোঁজ করতেই অবাক বনে যায়। পরে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ডাক্তাররা জানান, শিশুটি পুষ্টির অভাবে ভুগলে, ওর বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ কুকুরের স্নেহ-ভালবাসা। এই কদিন খাবার না পেলে শিশুটিকে বাঁচানো অসম্ভব হত বলেও তারা জানান।