রবিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার অন্যতম আসামি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১১) সাবেক কর্মকর্তা অব্যাহতিপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদের পক্ষে লড়তে চান ঢাকার পাঁচ আইনজীবী। আজ রোববার তাঁরা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এইচ এম শফিকুল ইসলামের আদালতে এ জন্য অনুমতির আবেদন করেছেন।
চাঞ্চল্যকর এ খুনের ঘটনায় অন্যান্যের মধ্যে নিহত হন নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির জ্যেষ্ঠ সদস্য চন্দন সরকার। তাঁর প্রতি সম্মান দেখিয়েই নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা এ মামলায় আসামিপক্ষে না লড়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই ঢাকার পাঁচ আইনজীবী তারেক সাঈদের পক্ষে লড়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আবেদন করেন।
পাঁচ আইনজীবী হলেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য সারোয়ার মিয়া, আজিজুল হক ভূঁইয়া, আব্দুস সালাম ভূঁইয়া, এ এস এম দেলোয়ার হোসেন ও মৌসুমী বেগম। আদালতের অনুমতি পেলে আগামী ৭ অক্টোবর থেকে তাঁরা কাজ শুরু করবেন। এ দিন তারেক সাঈদের হাজিরার দিন ধার্য করা হয়েছে। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সব ঠিকঠাক থাকলে সেদিনই তাঁরা তারেক সাঈদের জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করবেন।
আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে সাত খুন মামলার ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তারেক সাঈদ বিচারকের কাছে অভিযোগ করেন, নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী নিয়োগ দিতে দেননি।
যদিও আসামিপক্ষের এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান। নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি বরং অভিযোগ করেন, মামলার সাক্ষীরা যাতে সাক্ষ্য দিতে আদালতে যেতে না পারে সে জন্যে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আসামিপক্ষ মামলাটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার এবং বিশেষ সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা করছে। আসামিপক্ষ চাইলে যে কাউকেই আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন।
গত বছরের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকার, প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়। ৩০ এপ্রিল বন্দরের শান্তির চর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জন এবং পরের দিন একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ফতুল্লা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়।