সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
গৃহযুদ্ধ-পীড়িত সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক তৎপরতা বাড়ানোর খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শনিবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভকে ফোন করে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, সিরিয়ায় উন্নতমানের সামরিক রসদ-সরঞ্জাম ও উপদেষ্টা পাঠিয়েছে রাশিয়া। এসব খবর অনুযায়ী, মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, সম্প্রতি আসাদ সরকারের শক্ত ঘাঁটি বন্দরনগর লাটাকিয়ার কাছাকাছি এক বিমানঘাঁটিতে রাশিয়া অস্থায়ী গৃহায়ণ ইউনিট ও বহনযোগ্য বিমান ট্রাফিক কন্ট্রোল সেন্টার পাঠিয়েছে। মূলত স্যাটেলাইটে তোলা ছবি দেখে এ কথা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। যদিও তাঁদের মতে, মস্কোর উদ্দেশ্য এখনো ‘অনিশ্চিত’। ওই মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদবিরোধীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলার জন্য অথবা আসাদ বাহিনীকে রসদ সরবরাহ করতে ওই সব উপকরণ ব্যবহার করা হতে পারে।
গণমাধ্যমের ওই খবরের পরিপ্রেক্ষিতেই জন কেরি সের্গেই লাভরভকে ফোন করে বলেন, মস্কোর এমন উদ্যোগ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের বিষয়ে শুরু থেকেই বিপরীত অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। অস্ত্রের জোগান দিয়ে পুরোনো মিত্র বাশার আল-আসাদ সরকারের বাহিনীকে সহায়তা করে যাচ্ছে মস্কো। অন্যদিকে গণবিরোধী ও স্বৈরশাসক আখ্যা দিয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন দেখতে চায় ওয়াশিংটন।
গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, সিরিয়ার যুদ্ধে মস্কো সরাসরি জড়িত হয়েছে—এ কথা বলার মতো সময় এখনো আসেনি।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্তব্য করেছে, রাশিয়ার পদক্ষেপ সিরিয়ায় নিরীহ মানুষ মৃত্যুর ঘটনা যেমন বাড়াবে, তেমনি বাড়াবে শরণার্থী প্রবাহ। মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে সিরিয়া বিষয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন মার্কিন ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।