সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : রাজশাহীতে হোটেলে নাস্তা করার পর টিস্যু দিয়ে মুখ মুছতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়া গরু ব্যবসায়ীদের মধ্যে জজ মিয়া (৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
জজ মিয়ার বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলা সদরের শিবপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তার মরদেহ পুলিশ হেফাজতে রামেক হাসপাতালের শবাগারে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান বলেন, সিটি বাইপাস পশুহাটে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে অসুস্থ ৩০ জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী সিটি বাইপাস পশুহাটের কাছে হোটেলে খাবার খেয়ে টিস্যু দিয়ে মুখ মুছতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান ৩০ গরু ব্যবসায়ী।
অসুস্থদের মধ্যে প্রথমে ছয় ব্যবসায়ীকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে ভর্তি গুরুতর অসুস্থরা হলেন- নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার সাসপুর গ্রামের জজ মিয়া (৪০), কালু (৩০), বেলাল হোসেন (৩০), মো. ইকবাল (৪৮), খাইরুল আলম (২০), আব্দুর রশিদ (৩৫)। পরে অন্যদেরও পর্যায়ক্রমে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত। এদের মধ্যে জজ মিয়া সকালে মারা গেছেন।
অসুস্থ অন্য গরু ব্যবসায়ীরা হলেন- হযরত আলী (৫৫), জাকারিয়া (২৬), আলিম উদ্দিন (২৫), জসিম উদ্দিন (২২), দেলওয়ার হোসেন (৩৫), মঞ্জু (৩৫), সেলিম রেজা (৪৫), সাইফুল ইসলাম (৩৪), আজাদ (৩০), হারুন (৩০), আলিম (২৫), সোনা মিয়া (৩৫), মোকলেস (৪২), সিদ্দিক (৩৫), বাশেদ (৫০), বাশের আলী (৩৮), কামরুল ইসলাম (৩১), শরীফুল ইসলাম (২২), রাকিব হোসেন (১৫), আমজাদ হোসেন (৩৫), হারুন (৩৪), জুয়েল (২৫), কামরুজ্জামান (২৭) ও জাকারিয়া (৩৫)। তাদের সবার বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার সাসপুর গ্রামে।
সিটি হাট ইজারদার আতিকুর রহমান কালু জানান, রোববার সকালে ৩০ থেকে ৩৫ গরু ব্যবসায়ী সিটি বাইপাস হাটে আসেন। সেখানে জাফর নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীর হোটেলে নাস্তা করে টিস্যু দিয়ে মুখ মোছার পরেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন।