সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথম বছরে বিদেশ সফরে ৩৭ কোটি রুপির বেশি খরচ হয়েছে। সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছিল অস্ট্রেলিয়া সফর। বাংলাদেশ সফরে খরচ হয়েছে এক কোটি ৩৫ লাখ রুপি।
আজ সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, তথ্য অধিকার আইনের (আরটিআই) আওতায় ১৬টি দেশে ভারতের মিশন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত মোদি ২০টি দেশ সফর করেছেন। এর মধ্যে ১৬টি দেশে অবস্থিত ভারতীয় মিশন মোদির সফরের ব্যয়ের তথ্য সরবরাহ করেছে। জাপান, শ্রীলঙ্কা, ফ্রান্স ও দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত ভারতীয় মিশন এ-সংক্রান্ত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৬টি দেশ সফরে মোদির ৩৭ কোটি ২২ লাখ রুপি খরচ হয়েছে।
মোদির সবচেয়ে ব্যয়বহুল সফর ছিল অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটি সফরে ব্যয় হয় আট কোটি ৯১ লাখ রুপি।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে ব্যয় হয় ছয় কোটি ১৩ লাখ রুপি। এ ছাড়া জার্মানি সফরে দুই কোটি ৯১ লাখ রুপি, ফিজি দুই কোটি ৫৯ লাখ রুপি, চীন দুই কোটি ৩৪ লাখ রুপি খরচ হয়েছে।
মোদির সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল সফর ছিল ভুটান। দেশটি সফরে ব্যয় হয় মাত্র ৪১ লাখ ৩৩ হাজার রুপি।
বাংলাদেশ সফরে মোদির খরচ হয়েছে এক কোটি ৩৫ লাখ রুপি। এর মধ্যে রয়েছে ১৯ লাখ ৩৫ হাজার রুপি হোটেল ভাড়া, ২৮ লাখ ৫৫ হাজার রুপি শ্রবণ ও অনুবাদ কৌশল, ১৩ লাখ ৮৩ হাজার রুপি ইন্টারনেট চার্জ।
ঘনঘন বিদেশ সফরের জন্য মোদি তাঁর নিজ দেশে সমালোচিত। সমালোচকেরা তাঁকে ‘অনুপস্থিত প্রধানমন্ত্রী’ বলেও টিপ্পনী কাটেন। ক্ষমতার প্রথম ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৫৩ দিনই বিদেশে কাটিয়েছেন তিনি।