সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া পশুবাহী ট্রাক থামিয়ে তল্লাশি করা যাবে না। ট্রাকের কাগজপত্র পরীক্ষার অজুহাতেও পশুবাহী ট্রাকও থামানো যাবে না। পাশাপাশি কুরবানির পর পাচার ঠেকাতে পশুর চামড়াবাহী কোনো ট্রাক ঢাকা ছাড়তে দেওয়া হবে না। পশুবাহী বা পশুর চামড়াবাহী কোনো ট্রাকে কোনো মহলের চাঁদাবাজিও সহ্য করা হবে না। সারাদেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে পুলিশ সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের মহাপরির্দশক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
আসন্ন কুরবানীর ঈদে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে পুলিশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে আইজিপি বলেন, যানজট রোধে পুলিশের পক্ষ থেকে রাজধানীর নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে পশুরহাট বসানোর জন্য ঢাকার দুই মেয়রকে অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা সে অনুযায়ী অস্থায়ী পশুর হাটের জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এর বাইরে কোথায়ও হাট বসতে দেওয়া হবে না। হাট ধেকে নির্ধারিত অংকের বেশি হাসিলের অর্থ নেওয়া যাবে না। পশুর পাইকারী ব্যবসায়ীদের টাকা বহন এবং জাল টাকা শনাক্তে হাটে হাটে পুলিশের ব্যবস্থা থাকবে।
আইজিপি জানান, ঈদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য পুলিশের সব রেঞ্জের ডিআইজি, মহানগর পুলিশের কমিশনারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। এতে অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারীসহ ঈদকেন্দ্রিক অপরাধীদের প্রতিরোধে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মহাসড়ক বা ফেরিঘাটে চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না।