সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
দেশের আইনজীবীদের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনের ভোট পুনঃগণনার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
আদেশের পর রিট আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি আদালত এটাও বলেছেন, বার কাউন্সিল নির্বাচনের ফল নিয়ে কোনো আপত্তি থাকলে কাউন্সিলের ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’
এ প্রেক্ষাপটে বার কাউন্সিল আইন পর্যালোচনা করে ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত রোববার বার কাউন্সিল নির্বাচনের ভোট পুনঃগণনার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি করে নির্বাচনের সদস্য প্রার্থী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রিটে বলা হয়, ‘বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আসা ফল ঘোষণা করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনারস ও বার কাউন্সিল অর্ডার-১৯৭২ এর বিধিমালার ১৫ (২) বিধি অনুসারে সারাদেশের সব কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার আসার পর কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে সব ব্যালট গুণে ফল ঘোষণা করতে হয়। কিন্তু এবার তা মানা হয়নি। ফলে বিধি ভঙ্গ করা হয়েছে।’
গত ৩ সেপ্টেম্বর বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফল অনুযায়ী, কাউন্সিলের ১৪টি সদস্যপদে আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীদের মোর্চা সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ (সাদা প্যানেল) পেয়েছে ১১টি পদ। আর বিএনপি সমর্থক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল প্যানেল) পেয়েছে তিনটি পদ। ইউনুছ আলী বার কাউন্সিলের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২৬৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ২৬ আগস্ট সারাদেশের ৭৭টি কেন্দ্রে বার কাউন্সিলের ভোটগ্রহণ হয়।