Wed. May 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

1মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন চালান ধরা পড়ার ঘটনা এবার নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে। আরো একটি ড্রামে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

প্রাথমিকভাবে কোনো পরীক্ষাগারেই প্রমাণ হয়নি সুর্যমুখী তেলের ড্রামে কোকেন থাকার অস্তিত্ব।

দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার মুখে ঢাকার ড্রাগ এন্ড টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে ১০৭টি ড্রাম পরীক্ষার পর ৯৬ নম্বরটিতে পাওয়া যায় কোকেনের প্রমাণ। যা মুহূর্তেই দেশের প্রথম কোকেন পাচারের ঘটনা হিসেবে ঝড় তোলে সবখানে।

এবার ৫৯ নম্বর ড্রামেও মিলেছে কোকেন থাকার প্রমাণ।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এরই মাঝে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের হাতে।

কোকেন আছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৬ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে সুর্যমুখী তেলের একটি কন্টেইনার জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। ৮ জুন খোলা হয় কন্টেইনারটি। সেখানে মেলে তেল ভর্তি ১০৭টি ড্রামৃযার প্রত্যেকটির ওজন ১৮৫ কেজি।

কোকেন পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃংখলা বাহিনী। কিন্তু ১০৭টির মধ্যে মাত্র ১টি ড্রামে কোকেন পাওয়ার বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে খোদ তদন্ত সংস্থাকে। তাদের বিশ্বাস ছিল হয়তো আরও কোনো ড্রামে মিলবে কোকেনের অস্তিত্ব। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্য হলোৃ৫৯ নম্বর ড্রামেও মিললো কোকেন।

তেলের আড়ালে কোকেন পাচারের ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের এসি কামরুজ্জামানের কাছে ৫৯ নম্বর ড্রামের পরীক্ষার প্রতিবেদন পাঠিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সেখানে বলা হয়, গত ২৭ জুন বন্দর থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতের নির্দেশে পরীক্ষা করে ড্রামটিতে কোকেন পাওয়া গেছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক মনে করেন, এসব ঘটনায় দেশের ল্যাবগুলোরই সামর্থ্য রয়েছে পরীক্ষা করে সঠিক ফলাফল দেয়ার।