Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

4মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এ মামলার ১২ আসামির মধ্যে মো. আকরাম হোসেনসহ বাকি তিনজনের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদেরকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।

গত ২৬ জুলাই ১২ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। এতে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।

গত ১৬ জুন সাখাওয়াতসহ যশোরের কেশবপুরের ১২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে দাখিল করেন তদন্ত সংস্থা।

সাখাওয়াত হোসেনসহ এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন চারজন। গ্রেফতারকৃত অন্য তিনজন হচ্ছেন মো. বিল্লাল হোসেন, মো. আকরাম হোসেন ও অজিহার মোড়ল ওরফে ওজিয়ার মোড়ল।

পলাতক আসামিরা হলেন- মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ সরদার, মো. আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম, মো. লুৎফর মোড়ল, মো. আব্দুল খালেক মোড়ল এবং মশিয়ার রহমান।

সাখাওয়াতসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৯ সালে যশোরে মামলা দায়ের করা হয়। প্রসিকিউশনের আবেদনে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ২৯ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরখান থেকে সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

২০১২ সালের ১ এপ্রিল থেকে এ মামলায় তদন্ত শুরু করে গত ১৩ জুন শেষ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক খান।

সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে একই অপরাধে আরও ১১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে এ মামলায় মোট আসামি হন ১২ জন। প্রসিকিউশনের আবেদনে গত ১২ মে বাকি ১১ জনের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর ওইদিন রাতেই তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করার পর ১৩ মে হাজির করা হলে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন ট্রাইব্যুনাল।

মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩২ জনকে এ মামলার সাক্ষী করা হয়েছে।