Mon. May 5th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

14 বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তিনজন সাক্ষীর জেরা এবং একজনের আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মামলাটির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশিবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমদ জমাদার এই তারিখ নির্ধারণ করেন।

এর আগে পূবালী ব্যাংকের বৈদেশিক শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার এইচ এম ইসমাইল হোসেন ও শেখ মকবুল হোসেনকে আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক খান ও জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা ফাহমিদা রহমানকে আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম জেরা করেন।

অপরদিকে, সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ড. মো. হাফিজুর রহমানের আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

পরে মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতের কার্যক্রম কোরবানি ঈদ পর্যন্ত মুলতবি রাখার আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। পরে আদালত খালেদা জিয়ার অসুস্থতা বিচেনায় নিয়ে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি রাখেন।

এছাড়া আসামিপক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, এ জে মোহাম্মদ আলী, সানাউল্লাহ মিয়াসহ বিএনপি সমর্থিত অসংখ্য আইনজীবী।

রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।

গত বছরের ১৯ মার্চ ওই আদালতের তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় দুই মামলায় খালেদা ও তারেক রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

এরপর ওই বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আসছিল খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ওই অনাস্থার মধ্যেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর তাকে বদলি করে আবু আহমেদ জমাদারকে নিয়োগ দেয়া হয়।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

আসামি তারেক রহমান দেশের বাইরে আছেন। মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

অন্যদিকে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

মামলাটিতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বি আইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি