বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : ইউরোপের বাইরে থেকে আসা শরণার্থীর স্রোত ঠেকাতে দক্ষিণ সীমান্তে ভূমিকা পালন করতে হতে পারে বিবেচনায় মহড়া শুরু করেছে হাঙ্গেরির সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার বিবিসি জানিয়েছে, হাঙ্গেরির দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী দেশ সার্বিয়া হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার এশিয়া ও আফ্রিকার শরণার্থী দেশটিতে প্রবেশ করছে। ওই সীমান্তে পুলিশকে সহায়তা করতে সেনাবাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বুদাপেস্ট।
ইতোমধ্যেই সীমান্তে ধারালো ধাতুর তারের বেড়া লাগানো শুরু করেছে দেশটি। চলতি মাসেই সীমান্তে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে পার্লামেন্ট সদস্যরা ভোট দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই সীমান্ত দিয়ে আরো ৪০ হাজার শরণার্থী দেশটিতে প্রবেশ করবে বলে মনে করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এসব শরণার্থীর অধিকাংশই সিরিয়া ও লিবিয়ার মতো গৃহযুদ্ধ ও সহিংসতাকবলিত দেশগুলো থেকে পালিয়ে আসা মানুষ। গ্রিস, সার্বিয়া, হাঙ্গেরি হয়ে এরা জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও সুইডেন যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এসব সম্পদশালী দেশের অভিবাসী আইন অপেক্ষাকৃত উদার।
বৃহস্পতিবার সকালে গ্রিসের লেসবোস দ্বীপ থেকে প্রায় আড়াই হাজার শরণার্থীর আরেকটি দলকে দেশটির সরকার ভাড়া করা ফেরি যোগে মূল ভূখণ্ডে নিয়ে এসেছেন। এরা সবাই সার্বিয়া-হাঙ্গেরি হয়ে জার্মানি ও সুইডেন যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
এর আগে জার্মানির সঙ্গে সব ধরনের রেল যোগাযোগ স্থগিত করেছে ডেনমার্ক। দেশটির সীমান্ত দিয়ে সুইডেনে যাওয়ার চেষ্টাকালে কয়েকশ শরণার্থীকে থামিয়ে দিয়েছে দেশটির পুলিশ। ওই সীমান্ত পথের একটি মহাসড়কও সাময়িকভাবে বন্ধ করে রেখেছে দেশটি।
ডেনমার্কে আটকেপড়া শরণার্থীরা রেজিস্ট্রেশন করতে রাজি হওয়ার পর রেজিস্ট্রেশন করে ট্রেন যোগে তাদের সুইডেন যাওয়ার ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। অবশিষ্টরা গাড়িতে চেপে সুইডেনের পথে রওয়ানা হয়েছেন।
অতিরিক্ত আরো ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থীকে ইইউ’র ২৮টি সদস্য দেশের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন।