বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : জিন রহস্য উন্মোচনের পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও পাট রপ্তানি গত পাঁচ বছরে কমেছে।
২০১০-১১ হতে পাঁচ বছরে এর আগের পাঁচ বছরের থেকে পাট রপ্তানি ২৬৩৭ লাখ বেল কমেছে বলে বুধবার সংসদে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজউদ্দিন প্রামানিক।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থ বছর থেকে ২০০৯-১০ অর্থ বছর পর্যন্ত ৫ বছরে মোট ১১১০৮ লাখ বেল পাট রপ্তানি হয়েছে।
২০১১-১২ থেকে ২০১৪-১৫ পর্যন্ত ৫ বছরে ৮৪৩৭ লাখ বেল পাট রপ্তানি হয়েছিল। গত পাঁচ বছরে আগের পাঁচ বছরের তুলনায় ২৬৩৭ লাখ বেল কম পাট রপ্তানি হয়েছে।
এক সময় বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল পাট। কিন্তু প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার পর পাট শিল্প হুমকির মুখে পড়ে।
২০১০ সালে তোষা পাটের পর দেশি পাটের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করেন মাকসুদুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা।
এর ফলে পাটের নতুন জাত উদ্ভাবনের পাশাপাশি পাটের গুণগত মান ও উৎপাদন বিপুল পরিমাণে বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হলে এর সুদিন ফেরানোর আশাও জাগে।
সংসদে আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০০৯-১০ অর্থ বছর থেকে ২০১৪-১৫ অর্থ বছর পর্যন্ত ৬ বছরে বস্ত্র খাতে ১ লাখ ২৮ হাজার ২০৩ দশমিক ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছ। এই সময়ে বাৎসরিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন দ্বিগুনের বেশি বেড়েছে।