Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

31বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
১৯৯৯ বিশ্বকাপ বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক এক জয় এ​ দেশের ক্রিকেটের ছবিটাই ভবিষ্যতের জন্য পাল্টে দিয়েছিল। ক্রিকেটের দ্রুত উত্থান, ২০০০ সালে টেস্ট অভিষেক—এসবের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছিল সেই জয়। যদিও নর্দাম্পটনের সেই জয়টি নিয়ে অনেকেই নানা সময়ে অনেক প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ করে পাকিস্তানের অনেকে ম্যাচটি ‘স্বাভাবিক’ ছিল না বলে দাবি করে এসেছেন।

এত দিন পর এই দাবি তুললেন জাভেদ মিয়াঁদাদও। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে মিয়াঁদাদেরই কোচ থাকার কথা ছিল। কিন্তু টুর্নামেন্টের ঠিক আগমুহূর্তে খেলোয়াড়েরা বিদ্রোহ করে বসে তাঁর বিরুদ্ধে। মিয়াঁদাদ দাবি করলেন, খেলোয়াড়দের দুর্নীতি আর অনিয়ম নিয়ে কথা বলার কারণেই এই বিদ্রোহ হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা ইচ্ছে ​করে হেরেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

পাকিস্তানের পত্রিকা জংকে দেওয়া সাক্ষাৎ​কারে মিয়াঁদাদ দাবি করেছেন, সেই সময় পাকিস্তানের কিছু খেলোয়াড় ‘কুছ পরোয়া নেহি’ ভঙ্গিতে ঘুষ-দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েছিল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে একাধিকবার বিষয়টি জানিয়ে সতর্ক করেছিলেন বলে দাবি করে বলেছেন, ‘আমি তখনকার বোর্ড প্রধান খালিদ মাহমুদকে উদ্যোগ নিতে বলেছিলাম। না হলে হলে পাকিস্তানের ক্রিকেটের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে সতর্কও করেছিলাম। আমার বিবেক আর সায় দেয়নি বলে ১৯৯৯ সালে কোচের পদ থেকে সরে গিয়েছিলাম।’

বিশ্বকাপের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা মিয়াঁদাদের অধীনে খেলবে না বলে বিদ্রোহ করে বসে। তাঁকে সরিয়ে মুশতাক মোহাম্মদকে কোচ করা হয়। মিয়াঁদাদের বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের অভিযোগ ছিল, এর কিছুদিন আগে শারজায় অনুষ্ঠিত এক টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়েরা ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িয়েছিলেন বলে কোচ ‘ভিত্তিহীন’ অভিযোগ এনেছিলেন। ড্রেসিংরুমে এ নিয়ে প্রায় হাতাহাতিও বেঁধে গিয়েছিল। দুজন সিনিয়র খেলোয়াড় তাঁর দিকে ব্যাট নিয়ে তেড়ে এসেছিলেন বলেই শোনা যায়।

কদিন আগে তখনকার পিসিবি প্রধান মাহমুদ দাবি করেন, মিয়াঁদাদ দল নির্বাচনে আরও বেশি ক্ষমতা চেয়েছিলেন বলেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মাহমুদ মিথ্যা বলছেন দাবি করে মিয়াঁদাদ বলেন, ‘সত্যটা হলো আমি ওনাকে কয়েকজন খেলোয়াড়ের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলাম, এরা ইচ্ছে করে খারাপ খেলছে, কিছু ম্যাচের ফল বদলে দিচ্ছে। ওনাকে উদ্যোগ নিতে বলেছিলাম। কিন্তু উনি বিশ্বাস করেননি। এখন তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি পাকিস্তানের ক্রিকেটের কত বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। কয়েক বছর পরে সাঈদ আনোয়ার আমার সঙ্গে দেখা করে সেই ঘটনার জন্য ক্ষমা চায়। ও বলেছিল, কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার দলের জুনিয়রদেরও আমার বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছিল। সেবার বিশ্বকাপে এই খেলোয়াড়রাই কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত হারের জন্য দায়ী ছিল। তা ছাড়া সেই বিশ্বকাপের ফাইনালে কী হয়েছিল, সেটাও এখন ইতিহাস