Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

20খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
নেই নেই করেও সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। বাংলাদেশ ফুটবল দলে নামী কোচ এসেছেন বেশ কজনই। নাসের হেজাজি, অটো ফিস্টার কিংবা ওল্ডরিখ সোয়াব। এঁরা সবাই কোচ হিসেবে সমাদৃত। হেজাজি তো খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছিলেন ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ। কোচ হিসেবে ইরানের মতো দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দায়িত্ব সামলেছেন। ফিস্টার জার্মানির ফুটবল ব্যক্তিত্ব হিসেবেই পরিচিত। নব্বইয়ের দশকে ঘানাকে যুব বিশ্বকাপের শিরোপাও এনে দিয়েছিলেন। সৌদি আরব আর টোগোকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপের আঙিনায়। সামির শাকির কোচ হিসেবে খুব বিখ্যাত না হলেও ১৯৮৬ সালে ইরাকের বিশ্বকাপ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ওল্ডরিখ সোয়াবকে ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে পাঠিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) তখনকার প্রধান হুয়ান সামারাঞ্চ নিজে পছন্দ করে।

এই তিনজনের পরেও আরও বেশ কয়েকজন কোচ বাংলাদেশে এসেছেন। মার্ক হ্যারিসন, জর্জ কোটান, ডিয়েগো ক্রুসিয়ানি, ডিডো। সদ্য বিদায়ী কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফেরও ছিল সম্মানজনক কোচিং ক্যারিয়ার। এই ডাচ কোচের বিদায়ের পর জাতীয় দলের নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ পেলেন একজন ইতালীয়।

ফ্যাবিও লোপেজ তাঁর নাম। তাঁর সঙ্গে বাফুফের চুক্তি আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই সময়ে তিনি জাতীয় দলের সঙ্গেই সময় কাটাবেন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বাকি চারটি ম্যাচে দলের পারফরম্যান্সের উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করবেন। কোচিং ক্যারিয়ারে লোপেজ রোমার যুব পর্যায়ে কাজ করেছেন। এর আগে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার কোচও বাংলাদেশ পেয়েছে। তবে এই প্রথম একজন ইতালিয়ানকে পেল কোচ হিসেবে। শুধু তা-ই নয়, পেল ইউরোপের অন্যতম শীর্ষ একটি দলের একাডেমিতে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোচকেও।

লোপেজ নিজের ফুটবল ক্যারিয়ার বেশিদূর টানতে পারেননি চোটের কারণে। খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন গোলরক্ষক। খেলেছেন আধা পেশাদার দল অ্যাজিয়াটিস এফসির হয়ে। বেশ অসময়েই খেলা ছেড়ে দিতে হয়েছিল তাঁকে। ২০০০ সালের দিকে সিরি ‘আ’র দল এএস রোমার যুব একাডেমিতে কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০০৩ সালের দিকে আটালান্টা ও ২০০৫ সালের দিকে ফিওরেন্টিনার মতো ক্লাবের স্কাউট হিসেবে নতুন প্রতিভা খুঁজে বের করার দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে লিথুয়ানিয়ান ক্লাব এফকে গারজদালের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন।

২০১১ সালে মালয়েশিয়ার অন্যতম শীর্ষ ক্লাব সাবাহ এফএর কোচ হিসেবে কাজ করেন। কাজ করেন ইন্দোনেশিয়াতেও। সেখানে দায়িত্ব পালন করেন পিএসএমএস দলের কোচ হিসেবে। বাংলাদেশের কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তাঁর সর্বশেষ দায়িত্ব দক্ষিণ এশিয়ার মালদ্বীপে, শীর্ষ ক্লাব বিজি স্পোর্টসের হয়ে। কোনো জাতীয় দলের দায়িত্ব পেলেন এই প্রথম।

উয়েফা প্রো লাইসেন্সধারী লোপেজের সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরেই কথা হচ্ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি তিনি মাঠে বসে দেখেছেন। জর্ডানের বিপক্ষে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ম্যাচেও মাঠে ছিলেন। এই দুটো ম্যাচ দেখে একটি বিশেষ প্রতিবেদন তিনি তুলে দিয়েছেন বাফুফের হাতে। রোমে জন্মগ্রহণকারী এই ফুটবল কোচের অধীনে মামুনুলরা নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে পারেন কিনা—এখন দেখার বিষয় এটিই। লোপেজের বিশেষ দক্ষতা কিশোর প্রতিভাদের নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে। এ ক্ষেত্রেও তাঁকে কাজে লাগাতে পারে বাফুফে।