Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
12ব্যাংককে মন্দিরের কাছে প্রাণঘাতী বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী পালিয়ে বাংলাদেশে এসে দুই সপ্তাহ অবস্থানের পর ঢাকা ছেড়ে গেছে বলে ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে।

শুক্রবার দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের নথিপত্র অনুযায়ী ‘সব বৈধ কাগজপত্রের’ ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অগাস্টের শুরুর দিকে বাংলাদেশে যেতে ট্যুরিস্ট ভিসা দেওয়া হয় এবং তিনি ১৬ অগাস্ট বাংলাদেশে যান।

পরদিন ব্যাংককের এরাওয়ান মন্দিরের সামনে ওই বোমা হামলা হয়।

“বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ব্যাংককের আইনশৃঙ্খলা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে তথ্য পাওয়া আগেই অভিযুক্ত ব্যক্তি ৩০ অগাস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে যায়,” বলা হয়েছে দূতাবাসের বিবৃতিতে।

তবে তার বাংলাদেশে ‘দুই সপ্তাহ অবস্থান’ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বের করতে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠভাবে’ কাজ করবে বলে এতে বলা হয়েছে।

“বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বর্তমানে বিষয়টি তদন্ত করছে এবং থাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ সংক্রান্ত সব তথ্য বিনিময় করবে। পাশাপাশি ইন্টারপোলসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সঙ্গে এসব তথ্য বিনিময় করা হবে।”

গত ১৭ অগাস্ট ব্যাংককে ওই হামলার পর থেকেই ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ‘কঠোর নিরাপত্তা সতর্কতা’ অবলম্বন করছে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস।

ওই ব্যক্তি সংক্রান্ত সব তথ্য বাংলাদেশ ও থাই কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে দূতাবাস।

পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় ব্যাংককের শিদলোম এলাকার এরাওয়ান মন্দিরের কাছে ওই হামলায় ২০ জন নিহতের পাশাপাশি অনেকে আহত হন।

ওই হামলার আগের দিন এর মূল পরিকল্পনাকারী চীনের পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন বলে গত বুধবার সন্দেহের কথা জানায় থাই কর্তৃপক্ষ।

এ হামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার একজনের পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়ম, ‘ইজান’ নামের এক ব্যক্তি হামলা পরিকল্পনায় মূল ভূমিকা পালন করেন এবং ব্যাংককে এক বৈঠকে তিনি অন্যদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।

থাই পুলিশের মুখপাত্র প্রভূত থাবর্নসিরি রয়টার্সকে বলেন, হামলার সঙ্গে জড়িতরা মানবপাচারকারীও হতে পারে এবং সন্দেহভাজন একজন যে চীনা পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন তাতে জন্মস্থান হিসেবে জিনজিয়ান উল্লেখ করা হয়েছে।

চীনা পাসপোর্ট ব্যবহারের বিষয়টি সামনে আসায় চীনের উইঘুর মুসলিমদের প্রতি সহানুভূতিশীলরা হামলার পিছনে থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।

গত জুলাইয়ে উইঘুরদের ১০৯ জনকে জোর করে চীনে ফেরত পাঠায় থাইল্যান্ড। হামলায় নিহতদের সাতজনই চীন ও এর অন্তর্ভুক্ত হংকংয়ের বাসিন্দা।

বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, বিষয়টি নিয়ে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও থাই সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ’ যোগাযোগ রেখে চলেছেন রাষ্ট্রদূত।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে তথ্য বিনিময় করছে বলেও এতে বলা হয়।

মন্দিরে ওই হামলায় প্রাণহানির পরপরই এর নিন্দা জানিয়ে থাই কর্তৃপক্ষের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ‍‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করবে বলে জানান তিনি।