খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
মৌসুমের শুরু থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল ডেভিড ডি গিয়া চলে যেতে চান রিয়াল মাদ্রিদে। কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ লুই ফন গাল তাঁকে হাতছাড়া করতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু নাছোড়বান্দা ডি গিয়া গোঁ ধরে থাকায় ৩ কোটি ৬০ লাখ ইউরোর বিনিময়ে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে তাঁকে বিক্রি করার সিদ্ধান্তটা নিয়েই নিয়েছিল ইউনাইটেড। কিন্তু দলবদলের সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ায় ইউনাইটেডেই থেকে যেতে হয় ডি গিয়াকে।
ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নিজ দেশে ফিরতে পারেননি। ইউনাইটেডের গড়িমসির জন্য যোগ দিতে পারেননি স্বদেশি জায়ান্ট রিয়ালে। মাত্র ২ মিনিটের জন্য ‘ব্লাঙ্কোস’দের জার্সি গায়ে চরানো হয়নি ডি গিয়ার। ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তির মাত্র এক বছর বাকি থাকায় শোনা যাচ্ছিল আগামী বছরেই রিয়াল মাদ্রিদে ফিরবেন তিনি, মুফতেই। আর এই এক বছর ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করায় রিয়াল মাদ্রিদ তাঁকে ৫০ লাখ ইউরো দেবে বোনাস হিসেবে। কিন্তু গতকাল এই সব ধারণায় জল ঢেলে দিলেন এই স্প্যানিশ গোলরক্ষক। ইউনাইটেডের সঙ্গে নতুন করে আরও চার বছরের জন্য চুক্তি করেছেন।
গতকালই রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরোন্তিনো পেরেজ হালকা একটু ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এই ব্যাপারে, ‘ডি গিয়া আমাদের হয়েই খেলত কিন্তু ইউনাইটেড সেই সুযোগটি দেয়নি। এক বছর পরে কি হবে সেটি ভেবে লাভ নেই। তাঁর উচিত নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।’
ডি গিয়ার ব্যাপারটি চূড়ান্ত করে উৎফুল্ল ফন গাল। মাত্র দুই দিন আগেও এসব ঝামেলায় ডি গিয়াকে স্কোয়াডের বাইরে রেখেছিলেন তিনি। চুক্তির ব্যাপার-স্যাপার চূড়ান্ত হয়ে যাওয়াতে আজ শনিবার লিভারপুলের বিপক্ষে গোলবার সামলানোর যথেষ্ট সম্ভাবনা তাঁর আছে। ফন গাল নিজেই জানালেন এই কথা, ‘সে কি খেলবে? ট্রেনিং সেশন দেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে তিন সপ্তাহ আগের পরিস্থিতির সঙ্গে বর্তমানের অনেক পার্থক্য। আশা করছি তাঁকে মাঠে নামতে দিতে পারব।’
নতুন এই চুক্তি অনুযায়ী ডি গিয়া প্রতি সপ্তাহে আয় করবেন ২ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য দাঁড়ায় ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা! অর্থাৎ বছরে তাঁর আয় দাঁড়াচ্ছে ১২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি না হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে লাভবানই হলেন ডি গিয়া।