Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

53খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সীমান্ত শান্ত রাখতে ভারত ও পাকিস্তান সচেষ্ট থাকবে এই আশা প্রকাশ করে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালকদের তিন দিনের বৈঠক শেষ হয়েছে। ঠিক হয়েছে, আগামী বছরের প্রথমার্ধে দুই বাহিনীর মহাপরিচালকেরা পাকিস্তানে ফের বসবেন। ভবিষ্যতে এই দুই বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলি কী রকম হবে, তিন দিনের বৈঠকে তা-ও ঠিক হয়েছে। আলোচনার রেকর্ডে দুই মহাপরিচালক শনিবার সই করেন।

দুই দেশের সীমান্তে সম্প্রতি যে উত্তেজনা চলছে, এই বৈঠকের পর মনে করা হচ্ছে তা কিছুটা হয়তো কমবে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পক্ষে এক বিবৃতিতে আজ শনিবার বলা হয়, এই আলোচনা খুবই গঠনমূলক পরিবেশে হয়েছে। সীমান্ত শান্ত রাখতে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি দুই দেশই উপলব্ধি করেছে।

সীমান্ত এলাকায় পারস্পরিক উদ্বেগের যে বিষয়গুলি আলোচনার উঠে এসেছে সেগুলির মধ্যে প্রধান হলো সংঘর্ষ, বিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালানো। এতে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের দুর্ভোগ যে চরমে ওঠে তা দুই দেশই উপলব্ধি করেছে। এ ছাড়া মাদক চোরাচালান, অনুপ্রবেশ, জঙ্গি তৎপরতা ও প্রতিরক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্থাপনার বিষয়গুলি নিয়েও কথা হয়।

বিএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভুল করে যাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে চলে যান তাঁদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি কীভাবে তৎপরতার সঙ্গে করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের নিরাপত্তা রক্ষা দুই দেশের কাছেই প্রাথমিক উদ্বেগের বিষয়। ঠিক হয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষেত্রে দুই বাহিনীই খুবই সাবধানী মনোভাব দেখাবে।

এই বৈঠক দুই দেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস-এর (ডিজিএমও) মধ্যে আলোচনার পথ প্রশস্ত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানায়, ভারত যে সীমান্ত শান্ত রাখতে একান্তই আগ্রহী এবং প্রথম গুলি ছুড়তে চায় না, সে কথা খুব স্পষ্টভাবে পাকিস্তান রেঞ্জার্সদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ কথাও তাদের বলা হয়েছে, সশস্ত্র জঙ্গিদের জন্য সীমান্ত খুলে না রেখে তারা যেন তাদের মোকাবিলায় সচেষ্ট হয়। কারণ, জঙ্গি রুখতে ভারতীয় বাহিনীর সক্রিয়তায় কোপ পড়ে রেঞ্জার্সদের ওপর।