Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

71 খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সরকার ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থায় চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ। শনিবার বিকালে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অষ্টম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।

এমাজউদ্দীন বলেন, সব জেলায় বিএনপির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতা নির্ধারণ করা দরকার। এটাই একমাত্র পথ হওয়া উচিত।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট আরোপের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, পৃথিবীর কোথাও শিক্ষায় ভ্যাট নেই। সরকার এসব পদক্ষেপ তখনই নেয়, যখন তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সরকার ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি- এ রকম অবস্থায় চলে এসেছে।

বিএনপির চেয়ারপারসনকে নির্বাচনের বাইরে রাখা হতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে এমাজউদ্দীন বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেভাবে বিচার চলছে, এটা উদ্দেশ্যমূলক।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অহিংস আন্দোলনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, পথটা আমাদের চেনা থাকল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েদের মতো, আঘাত দেয়ার, আগুন দেয়ার দরকার নাই। আন্দোলন শুধু ঢাকার মধ্যে সীমিত রাখারও দরকার নাই।

বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পার্টিতে গণতন্ত্র কেমন তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে। পার্টি তাতে শক্তিশালী হবে। না হলে আলোচনায় লোক আরও কমবে ভবিষ্যতে। এত বড় বিপদ সামনে স্থায়ী কমিটির কয়টি বৈঠক হয়েছে-এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।

শুধু খালেদা জিয়ার স্তুতি না করে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করারও আহ্বান জানান জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, প্রশ্ন করেন সংগঠনের কী হবে? যদি খালেদা জিয়াকে জেল দেয়া হয়, চেয়ারপারসনের দায়িত্ব কে নেবে? এগুলো আলাপ করেছেন, না খোদার ওপর ছেড়ে দিয়েছেন?

জাফরুল্লাহ চৌধুরী দাবি করেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর সহযোগিতায় শিলং নেয়া হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের আত্মগোপনে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, টাকার লেনদেন হয়েছে বলে পুলিশ তাকে ধরছে না। এটি আব্বাস এবং খালেদা জিয়া, বিএনপি-সবার জন্যই ক্ষতিকর।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্রে যা আছে, সঠিকভাবে পালন করলে তা গণতন্ত্রের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু যা আছে তা-ও পালন করা হয় না।

তিনি বলেন, দলের ভেতরে পুরোপুরি গণতন্ত্র চর্চা হয় না। এখন আর কর্মীরা নেতা নির্বাচন করে না। এ জন্য দলের নেতারা দায়ী।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোস্তাহিদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, দলের কেন্দ্রীয় নেতা শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, মাহবুবউদ্দিন খোকন, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে কামাল ইবনে ইউসুফ, সেলিমা রহমান, আলতাফ মাহমুদ চৌধুরী, এম এ মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।