খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
১৯৭৫ থেকে ২০১৫ মক্কায় ৪০ বছরে পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় তিন হাজার মানুষ। বিভিন্ন সময়ে একের পর এক হজ ট্র্যাজেডির জš§ দিয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, সড়ক দুর্ঘটনা, বোমা বিস্ফোরণ, শিয়া-সুন্নি সংঘর্ষ, ভবন ধস, অগ্নিকাণ্ড এবং প“লিত হওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনা। চ্যানেলআই ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ জন আফগানসহ ডজনখানেক হাজি মারা যাওয়ার ৪ বছর পর আবার সেই সেপ্টেম্বরেই পবিত্র হজের মাত্র কয়েকদিন আগে আরেক ট্র্যাজেডির জš§ হলো। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী শুক্রবারের ক্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৭ জনে। ২০০৬ সালে মক্কায় বহুতল আল-গাজা হোটেল ধসে ৭৬ জন নিহত হন এবং আহত হন আরও ৬৪ জন। একই বছর আল-জামারাতে শয়তানকে পাথর ছুঁড়ে মারতে গিয়ে প“লিত হয়ে মারা যান আরও ৩৪৫ জন। ২০০৪ সালের ১ ফেব্র“য়ারিতেও শয়তানকে পাথর ছুঁড়ে মারার সময় প“লিত হয়ে মারা যান ২৪৪ জন হাজি। ২০০১ সালের ৫ মার্চ ৩৫ জন হাজি মারা যান ওই আল-জামারাতে একই ধরনের ঘটনায়। ওই একই জায়গায় ১৯৯৮ সালে প“লিত হয়ে মারা যান ১৮০ জন হাজি। ১৯৯৭ সালের ১৫ এপ্রিল মিনায় তাবুতে আগুন লেগে পুড়ে মারা যান ৩৪০ জন। এ ঘটনায় আহত হন আরও প্রায় দেড় হাজার মানুষ। ১৯৯৪ সালের ২৩ মে ২৭০ জন মারা যান আল-জামারাতে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন ইন্দোনেশীয়। এর আগে ১৯৯০ সালের ২ জুলাই মক্কায় মারা যান ১ হাজার ৪২৬ জন হাজি। তাদের বেশিরভাগই ছিলেন মালয়েশীয়, ইন্দোনেশীয় ও পাকিস্তানি। সুড়ঙ্গ পথে পদপিষ্ট হয়ে এই বিপুল মানুষের মৃত্যু হয়। হজ ট্র্যাজেডিগুলোর মধ্যে এটিই এযাবৎ কালের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানীর ঘটনা। মুসলিমদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র স্থানে শুধু দুর্ঘটনাই নয় বোমা বিস্ফোরণ, সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষেও মারা গেছেন অনেক মুসল্লি। ১৯৮৯ সালের ৯ জুলাই মক্কায় দুটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত হন এক হাজি এবং আহত হন আরও ১৬ জন। ১৯৮৭ সালের ৩১ জুলাই মক্কায় ৪০২ জন হাজি নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন ইরানি হাজি। এ ঘটনায় আরও ৬৪৯ জন আহত হন। সৌদি নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে শিয়াদের সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে তাবুতে আগুন লেগে গেলে নিহত হন ২০০ হাজি।